Advertisement
০২ নভেম্বর ২০২৪
survey

Man-woman Relationship: ৮২ শতাংশ ভারতীয় নারী যৌন সঙ্গমে ‘না’ বলতে পারেন সঙ্গীকে, বলছে জাতীয় সমীক্ষা

দেশ জুড়ে যখন বৈবাহিক ধর্ষণ সংক্রান্ত আইন নিয়ে ক্রমেই বাড়ছে বিতর্ক, তখন এই সমীক্ষার ফলাফলকে গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

ক’জন নারীকে একা বাজারে বেরোতে দেওয়া হয় জানেন?

ক’জন নারীকে একা বাজারে বেরোতে দেওয়া হয় জানেন? ছবি: সংগৃহীত

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১০ মে ২০২২ ১৩:১৫
Share: Save:

প্রকাশ পেল পঞ্চম জাতীয় পারিবারিক স্বাস্থ্য সমীক্ষার ফলাফল। সমীক্ষা বলছে, ৮২ শতাংশ ভারতীয় নারী স্বামীর সঙ্গে যৌন সম্পর্কে যেতে আপত্তি জানাতে পারেন। দেশ জুড়ে যখন বৈবাহিক ধর্ষণ সংক্রান্ত আইন নিয়ে ক্রমেই বাড়ছে বিতর্ক, তখন এই সমীক্ষার ফলাফলকে গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি। ছবি: সংগৃহীত

স্বাস্থ্য মন্ত্রকের এই সমীক্ষা বলছে, যৌন মিলনে ‘অসম্মতি’ প্রকাশ করতে পারার দিক থেকে সবচেয়ে এগিয়ে গোয়ার মহিলারা। গোয়ার ৯২ শতাংশ মহিলা জানিয়েছেন, তাঁরা যৌন সঙ্গমে অসম্মতি জানতে পারেন। এই হার সবচেয়ে কম অরুণাচল প্রদেশে, সেখানে কেবল ৬৩ শতাংশ মহিলা ‘না’ বলতে পারেন স্বামীকে। পাশাপাশি, এ বারের সমীক্ষায় পুরুষদের একটি বিশেষ প্রশ্ন করা হয়— ‘স্ত্রী যৌন সঙ্গমে অসম্মত হলে, স্বামীর তাঁকে তিরস্কার করা, টাকাপয়সা না দেওয়া, জোর করে যৌন সঙ্গমে বাধ্য করা কিংবা অন্য কোনও মহিলার সঙ্গে যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হওয়া উচিত কি না?’ কেবল ৭২ শতাংশ পুরুষ এই চারটির কোনওটিই করা উচিত নয় বলে জানিয়েছেন।

প্রসঙ্গত, ধর্ষণ সংক্রান্ত আইন বলছে পূর্ণ বয়স্ক কোনও ব্যক্তি জোর করে স্ত্রীর সঙ্গে যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হলেও তাঁকে ধর্ষণে অভিযুক্ত করা যাবে না। অর্থাৎ কোনও ব্যক্তি স্ত্রীর অনিচ্ছা অমান্য করে তাঁকে যৌন সম্পর্কে বাধ্য করলেও তা ধর্ষণ বলে গণ্য হবে না। একেই ধর্ষণের ‘বৈবাহিক ব্যতিক্রম’ বলা হয়।

সমীক্ষা আরও বলছে, কেবল ৪৪ শতাংশ ভারতীয় নারীকে একা বাজারে বেরোতে দেওয়া হয়। ৩২ শতাংশ বিবাহিত নারী বাড়ির বাইরে কাজ করতে পারেন। পাশাপাশি প্রায় ৪৪ শতাংশ পুরুষ একজন স্বামীর তাঁর স্ত্রীকে মারধর করার অধিকার রয়েছে বলে বিশ্বাস করেন বলেও উঠে এসেছে সমীক্ষায়।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE