বয়স বাড়া ছাড়াও হাঁটুর ব্যথার সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে কিছু রোগও
হাঁটুর ব্যথা এখন প্রায় ঘরে ঘরে। অতিরিক্ত কাজ করলেও ব্যথা বাড়ে। আবার একেবারে না করলেও জাঁকিয়ে বসে। বয়স বাড়া ছাড়াও হাঁটুর ব্যথার সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে কিছু রোগও। তবে তখনই হাঁটু ভাল থাকবে, যখন ব্যায়ামের অভ্যেস থাকবে। এতে হাঁটুর ব্যথা পুরোপুরি সেরে হয়তো যাবে না। কিন্তু রোজ নিয়মিত ব্যায়ামগুলি করলে ব্যথা কম থাকবে। নিয়ন্ত্রণে আনা যাবে হাঁটুর ব্যথাকেও। দেখে নেওয়া যাক, কোন ব্যায়ামে ভাল থাকবে হাঁটু।
লেগ রেজ়:
মাটিতে টানটান হয়ে শুয়ে দু’হাতের তালু মেঝের উপরে রাখুন। এ বার বাঁ পা আস্তে আস্তে উপরে তুলুন। মাটি থেকে অন্তত ৪৫ ডিগ্রি কোণে তুললে ভাল। পাঁচ সেকেন্ড ও ভাবে পা তুলে রাখুন। তার পরে ধীরে ধীরে নামিয়ে নিন। এই একই পদ্ধতিতে ডান পা ওঠান এবং উপরে কিছুক্ষণ রেখে নামিয়ে নিন। শুরুর দিকে দু’পায়ে চার বার করে এই লেগ রেজ় ব্যায়াম করতে পারেন। পরে ক্ষমতা বাড়লে আট-দশ বার পর্যন্ত বাড়াতে পারেন লেগ রেজ়ের সেট।
লায়িং হ্যামস্ট্রিং স্ট্রেচ:
মেঝেয় টানটান হয়ে শুয়ে বাঁ পা উপরে তুলুন। এ ক্ষেত্রে মাটির সঙ্গে পা ৯০ ডিগ্রি কোণে থাকবে। দু’হাত দিয়ে বাঁ ঊরুর নীচে সাপোর্ট রাখুন। এ বার বাঁ হাঁটু আস্তে আস্তে বুকের কাছে আনার চেষ্টা করুন। ৩০ সেকেন্ড রেখে, আবার স্বাভাবিক জায়গায় ফিরে যান। এ ভাবে দু’পায়েই করতে হবে। ৩০ থেকে ৬০ সেকেন্ড পর্যন্ত ধরে রাখতে পারেন পা।
হাফ স্কোয়াট:
এই ব্যায়াম করতে হবে দাঁড়িয়ে। হাত দু’টি সামনের দিকে তুলুন। এ বার অল্প বসার চেষ্টা করুন। তবে পুরোপুরি নয়, অর্ধেক বসার ভঙ্গি পর্যন্ত রেখেই উঠে পড়ুন। এ ভাবে অন্তত ১০টি সেট করতে হবে। এই হাফ স্কোয়াট করতে সাধারণত ব্যথা হওয়া উচিত নয়। তবে কারও ব্যথা হলেও তা প্রাথমিক। নিয়মিত অভ্যেস করলে স্কোয়াট বা হাফ স্কোয়াটে ব্যথা
হবে না।
ওয়ান লেগ ডিপ:
এই ব্যায়ামের জন্য অবশ্য দরকার একটি চেয়ারের। চেয়ারের পিছনে দাঁড়িয়ে তার মাথায় ডান হাত দিয়ে সাপোর্ট দিন। এ বার বাঁ হাত কোমরে রাখুন। এ ভাবেই ডান পা মেঝে থেকে অন্তত ১২ ইঞ্চি তুলে একটু নিচু হয়ে আবার উঠে পড়ুন। ডান পায়ে বার দশেক করার পরে একই ভাবে ওয়ান লেগ ডিপ করতে হবে বাঁ পায়ে।
লেগ স্ট্রেচ: মেঝেয় বসে পা ছড়িয়ে দিন। হাত দু’টি রাখুন দু’পাশে, মেঝের উপরে। মেরুদণ্ড এবং কাঁধ থাকবে সোজা। এ বার বাঁ গোড়ালি ধীরে ধীরে নিজের দিকে নিয়ে আসুন। এতে স্বাভাবিক ভাবেই হাঁটু ভাঙবে। পাঁচ সেকেন্ড রেখে পা ছড়িয়ে দিন। একই পদ্ধতিতে লেগ স্ট্রেচ দু’পায়ে করতে হবে পাঁচ সেট করে।
হাঁটুর ব্যথার তীব্রতা এবং বয়সের উপরে নির্ভর করে বদলাতে থাকে ব্যায়ামও। এই ব্যায়ামগুলি প্রাথমিক স্তরের। তবে কারও ব্যায়াম করতে গিয়ে ব্যথা বাড়লে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। যদিও ব্যায়াম করার সময়ে সামান্য ব্যথা হওয়া অস্বাভাবিক নয়। রোজ ব্যায়ামগুলির অভ্যেস করলে, সেই ব্যথা মরেও যায়। এ ছাড়া কেউ যদি একান্তই কোনও ব্যায়াম না করতে পারেন, তা হলে তাঁকে রোজ হাঁটতে হবে। হাঁটার কোনও বিশেষ সময় নেই। সকাল-বিকেল-সন্ধে... যাঁর যে সময়ে সুবিধে, সেই সময়ই বেছে নিতে পারেন হাঁটার জন্য। নিয়মিত হাঁটলে হাঁটু ভাল থাকে। তবে এবড়োখেবড়ো নয়, হাঁটতে হবে সমতল কোনও জায়গায়।
এই সমস্ত হাঁটাহাঁটি এবং ব্যায়ামগুলি শুধু মাত্র হাঁটু নয়, সার্বিক ভাবে শরীরকেও ভাল রাখতে সাহায্য করে। তা হলে দেরি না করে যত্ন নেওয়া শুরু হোক এখন থেকেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy