Advertisement
০৬ নভেম্বর ২০২৪
Honey Singh

প্রবল খ্যাতি, তুমুল ব্যস্ততা! তবু কেন পাঁচ বছর কাজ করেননি হানি সিংহ? কী হয়েছিল তাঁর?

কর্মজীবনের শীর্ষে থাকার সময় কেন তিনি বিরতি নিয়েছিলেন? সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে কারণ জানালেন 'ইয়ো ইয়ো’ হানি সিংহ।

কর্মজীবনের শীর্ষে থাকার সময় কেন বিরতি নিয়েছিলেন হানি?

কর্মজীবনের শীর্ষে থাকার সময় কেন বিরতি নিয়েছিলেন হানি? ছবি: সংগৃহীত।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৫ ডিসেম্বর ২০২২ ১২:১০
Share: Save:

পঞ্জাবের হোসিয়ারপুরের হির্দেশ সিংহ নামটি বেশি লোকে না জানলেও র‍্যাপ-তারকা 'ইয়ো ইয়ো' হানি সিংহের নাম ভারতীয় তরুণ প্রজন্মের মুখে মুখে। গানের জন্য যেমন তাঁর খ্যাতি, তেমনই তাঁর ব্যক্তিগত জীবনও বলিপাড়ায় বেশ চর্চিত। বেশ কিছু বছর কাজ থেকে বিরতি নিয়ে আবার তিনি ফিরে এসেছেন নতুন গানের সম্ভার নিয়ে।

কর্মজীবনের শীর্ষে থাকার সময় কেন তিনি বিরতি নিয়েছিলেন? সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে হানি জানিয়েছেন, একটা সময় গিয়েছে যখন তিনি বাইপোলার ডিজ়অর্ডারে ভুগছিলেন। কাজে মন বসাতে পারছিলেন না। হানি বলেন, ‘‘আমার হাতে তখন একাধিক কাজ। সব ভালই চলছিল। হঠাৎই আর কাজে মনোযোগ দিতে পারছিলাম না। আমি বুঝতে পারছিলাম, আমার মাথায় কিছু সমস্যা হচ্ছে আর দ্রুত তার চিকিৎসা করানো দরকার। তার পরেই ধরা পড়ে, আমি বাইপোলার ডিজ়অর্ডারে আক্রান্ত।’’

বাইপোলার ডিজ়অর্ডার এমন একটি মানসিক রোগ, যাতে রোগীর মেজাজ চরমভাবাপন্ন হয়ে যায়। সহজ ভাষায় বলতে গেলে, রোগী কখনও হাসিখুশি থাকেন, আবার পরক্ষণেই তীব্র অবসাদে ডুবে যেতে পারেন।

মনোরোগ চিকিৎসকদের মতে, ডিপ্রেশন হলে সাধারণত কোনও কাজে উৎসাহ পাওয়া যায় না। আগে যে কাজের মধ্যে কেউ আনন্দ খুঁজে পেতেন, তখন সেই কাজই তাঁর আর ভাল লাগে না। সব সময় একটা ক্লান্তির ভাব জড়িয়ে থাকে। এর সঙ্গে ঘুম কমে যাওয়া বা বেড়ে যাওয়া, খিদে চলে যাওয়ার কারণে ওজন কমে যাওয়া, কথা বলতে ইচ্ছে না করা, একই জায়গায় নিজের মধ্যে গুটিয়ে থাকা— এ সবও অবসাদের লক্ষণ। এই সময় রোগীদের মধ্যে মনঃসংযোগের সমস্যা, আত্মবিশ্বাস কমে যাওয়া বা সিদ্ধান্ত নিতে না-পারার মতো বিষয়গুলিও দেখা দিতে পারে। আত্মহত্যার প্রবণতাও দেখা দিতে পারে। বস্তুত, এই শেষ লক্ষণটি দেখা দিলে ধরে নেওয়া হয়, তিনি অবসাদের চরম সীমায় পৌঁছে গিয়েছেন।

বাইপোলার ডিজ়অর্ডার এমন একটি মানসিক রোগ, যাতে রোগীর মেজাজ চরমভাবাপন্ন হয়ে যায়।

বাইপোলার ডিজ়অর্ডার এমন একটি মানসিক রোগ, যাতে রোগীর মেজাজ চরমভাবাপন্ন হয়ে যায়।

বাইপোলার ডিজ়অর্ডারে ভুগলে এই পরিস্থিতির পাশাপাশি হঠাৎই রোগী ম্যানিয়ার পর্যায় চলে যান। এ সময়ে যে কোনও কাজে উৎসাহের মাত্রা প্রচণ্ড বেড়ে যায়। রোগীর মধ্যে সব সময় খুশি খুশি ভাব থাকে, তিনি অতিরিক্ত কথা বলতে শুরু করেন, আত্মবিশ্বাস হঠাৎই প্রচণ্ড বেড়ে যায়। কেউ অতিরিক্ত খেয়ে ফেলেন, কেউ অতিরিক্ত শরীরচর্চা করতে শুরু করেন, যৌন আসক্তিও বেড়ে যেতে পারে এ সময়ে। একে মনোবিদরা ‘ম্যানিয়াক এপিসোড’ বলেন। আর এতটা চরম পর্যায়ে না গিয়ে আচরণগুলি কিছুটা মাঝামাঝি জায়গায় থাকলে, তাকে ‘হাইপোম্যানিয়াক এপিসোড’ বলে।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE