রণদীপ-লিন। ছবি: ইনস্টাগ্রাম।
মণিপুরের মডেল লিন লাইশরামের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হলেন অভিনেতা রণদীপ হুডা। লিনের শহর ইম্ফলে মণিপুরি রীতি মেনেই সাত পাকে বাঁধা পড়েছেন তাঁরা। প্রকাশ্যে এসেছে তাঁদের বিয়ের ভিডিয়োও।
যখন বলিউডের অন্য অভিনেতা-অভিনেত্রীরা রাজস্থানের দামি হোটেল কিংবা প্রাসাদে ‘ডেস্টিনেশন ওয়েডিং’ করতে ব্যস্ত, তখন ছক ভাঙলেন রণবীর। মহাভারতের থিমেই করা হয়েছে মণ্ডপসজ্জা। বিয়েতে নজর কেড়েছে বর-কনের সাজ। রণবীরের পরনে সাদা ধুতি, ফতুয়া আর চাদর। মাথায় সাদা পাগড়ি, কপালে তিলক কাটা। মণিপুরের আঞ্চলিক পোশাকেই বিয়ে সারলেন বলি অভিনেতা।
লিনের পরনে মণিপুরের সাবেক পোশাক পটলোই। মেরুন আর সোনালি রঙের পটলোই পরেছেন তিনি। মুকুট থেকে গলায় সারি সারি হার— মাথা থেকে পা পর্যন্ত যেন সোনায় মুড়ে রয়েছেন লিন। শেরওয়ানি কিংবা ঘাগড়া নয়, একেবারেই সাবেকি পোশাকে বিয়ে করার জন্য প্রশংসিত হয়েছেন যুগল।
ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে বিয়ের রীতিনীতি পালন করতে ব্যস্ত বর-কনে। কখনও বরযাত্রীকে নিয়ে ব্যান্ডপার্টির সঙ্গে হেঁটে বিবাহমণ্ডপে ঢুকছেন রণদীপ, কখনও আবার লিনের পাশে বসেই বিয়ের অজানা সব নিয়ম-আচার বোঝার চেষ্টা করছেন তিনি।
বলিউডের কোনও বন্ধুবান্ধব নয়, একেবারে দুই পরিবারের উপস্থিতিতেই ঘরোয়া ভাবে বিয়ের আয়োজন করেছেন রণদীপ-লিন। বেশ কয়েক দিন ধরে ঘনিষ্ঠ আত্মীয়দের নিয়ে মণিপুরেই রয়েছেন অভিনেতা। লিনের শহরে পৌঁছে প্রথমেই মন্দির দর্শন করেন। সেখানেই সংবাদমাধ্যমের সামনে জানান মণিপুরের মেইতেই সম্প্রদায়ের রীতি মেনেই হবে বিয়ের অনুষ্ঠান। রণদীপ বলেন, ‘‘আমার মনে হয়, কনের সংস্কৃতি-ঐতিহ্যকে সম্মান জানানো আমার কর্তব্য। আমিও উদ্গ্রীব মেইতেই মতে বিয়ে করার জন্য। আমার যাতে কোনও ভুল না হয়, সে ব্যাপারে সতর্ক থাকব।’’ পাশাপাশি, লিনের সঙ্গে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে রণদীপ বলেন, ‘‘আমি চাই আমাদের ভবিষ্যৎ জীবন যাতে সুন্দর হয়। অনেক সন্তানে যাতে সংসার ভরে থাকে। প্রাচুর্য থাকে। মণিপুরে শান্তি ফিরুক, আমাদের বিবাহিত জীবন শান্তিপূর্ণ হোক।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy