উত্তর মেরুতে গিয়ে ‘ফ্রস্ট বাইট’-এ আক্রান্ত হন সাসেক্সের ডিউক হ্যারি। ছবি: সংগৃহীত
ইংল্যান্ডের যুবরাজ হ্যারিকে নিয়ে বিতর্কের শেষ নেই। কেউ বলেন তিনি ব্রিটেনের রাজপরিবারের অচলায়তন ভেঙে দেওয়া বজ্রনির্ঘোষ, কারও কাছে তিনি বেয়াদপ, যিনি মানেন না কোনও নিয়ম। তবে সুখ্যাতি হোক বা কুখ্যাতি, হ্যারি মানেই শিরোনাম। এ বার নিজের আত্মজীবনী নিয়ে ফের চর্চায় রাজপুত্র। হ্যারির আত্মজীবনী প্রকাশ হওয়ার কথা মঙ্গলবার, ১০ জানুয়ারি। কিন্তু তার আগেই সেই বইয়ের একাধিক অংশ ফাঁস হয়ে গিয়েছে। আর তা নিয়েই চর্চা শুরু হয়েছে নতুন করে।
হ্যারির আত্মজীবনীর নাম ‘স্পেয়ার’। সে বইয়ের ফাঁস হওয়া অংশে এক জায়গায় উল্লেখ রয়েছে, ২০১১ সালে হ্যারির উত্তর মেরু অভিযানে ঘটা একটি ঘটনার। সেখানে লেখা হয়েছে উত্তর মেরুতে গিয়ে ‘ফ্রস্ট বাইট’-এ আক্রান্ত হন সাসেক্সের ডিউক হ্যারি। ‘ফ্রস্ট বাইট’-এর আক্ষরিক বাংলা তর্জমা করলে দাঁড়ায় ‘বরফের কামড়’। আসলে কখনও কখনও অতিরিক্ত ঠান্ডায় ত্বক ও চামড়ার নীচের টিস্যু ক্ষতিগ্রস্ত হয়। রক্ত সঞ্চালনে সমস্যা দেখা দেয়, অবশ হয়ে আসে। মূলত হাত ও পায়েই প্রাথমিক ভাবে এই সমস্যা দেখা দেয়। সমস্যা বেড়ে গেলে অঙ্গহানির ঘটনাও ঘটতে পারে। তবে হ্যারির এই সমস্যা দেখা দেয় অন্যত্র, তাঁর গোপনাঙ্গে।
হ্যারির ক্ষেত্রে সমস্যা নাকি এতই গভীর হয়ে যায় যে, ঘটনার মাসখানেক পর দাদা উইলিয়ামের বিয়েতে যোগ দিতে গিয়েও সমস্যায় পড়েন তিনি। গোপনাঙ্গ ছাড়াও চিবুক ও কানেও ‘ফ্রস্ট বাইট’-এর সমস্যা দেখা দেয় হ্যারির। কিন্তু সেই অঙ্গগুলি দ্রুত সেরে উঠলেও পুরুষাঙ্গ নিয়ে দীর্ঘদিন ভুগতে হয় হ্যারিকে। সম্প্রতি নেটফ্লিক্সের একটি তথ্যচিত্রে স্ত্রী মেগানের সঙ্গে দেখা গিয়েছে তাঁকে। সেখানে নিজের ব্যক্তিগত জীবনের বহু তথ্য প্রকাশ্যে আনেন হ্যারি। তার পর আবার এই বিতর্কিত আত্মজীবনী, বিতর্ক থামার লক্ষণ নেই মেগানের স্বামীকে নিয়ে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy