—প্রতীকী চিত্র।
দিনকয়েক আগে কনট্যাক্ট লেন্স থেকে চোখের সংক্রমণে আক্রান্ত হয়েছিলেন হিন্দি টেলিভিশন অভিনেত্রী জ্যাসমিন ভাসিন। জানা গিয়েছিল, এক অনুষ্ঠানের আগে লেন্স পরতে গিয়ে চোখে ব্যথা হয় তাঁর। তড়িঘড়ি চিকিৎসকের পরামর্শ নিলেও সাময়িক ভাবে আংশিক দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছিলেন তিনি। তবে এ ঘটনা কিন্তু বিচ্ছিন্ন কোনও সমস্যা নয়। কনট্যাক্ট লেন্স থেকে চোখের নানা সমস্যায় ভোগেন অনেকেই।
কারণ এবং উপসর্গ
চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. মৃণ্ময় দাস বলছেন, “অধিকাংশ মানুষ যে কনট্যাক্ট লেন্স ব্যবহার করেন, তা হল সফট কনট্যাক্ট লেন্স। যাঁদের চোখে কোনও সমস্যা নেই, শুধুই পাওয়ার রয়েছে, তাঁরা চশমার বদলে এই লেন্স ব্যবহার করেন। একটা লেন্স ব্যবহারের নির্দিষ্ট সময়সীমা থাকে। কোনও লেন্স এক মাসের জন্য হয়, কোনওটা আবার তিন মাস, ছয় মাস, কোনওটা এক বছরের জন্য হয়। রোজের ব্যবহারের জন্যও লেন্স পাওয়া যায়। কেনার সময়েই রোগীকে তার সময়সীমা স্পষ্ট করে দেওয়া হয়। চিকিৎসকেরা বলছেন, সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরেও সেই একই লেন্স ব্যবহার করা চোখের পক্ষে ক্ষতিকর। পাশাপাশি লেন্স পরতে হয় কর্নিয়ার উপরে। অথচ কর্নিয়া অক্সিজেন পায় বাতাস থেকে। চশমা ব্যবহারে বাতাস থেকে স্বাভাবিক অক্সিজেন কর্নিয়া গ্রহণ করতে পারে। কিন্তু লেন্সের মধ্য দিয়ে অক্সিজেন ঢুকতে পারলেও, স্বাভাবিকের তুলনায় চোখে অনেকটাই অক্সিজেনের ঘাটতি হয়। তা ছাড়া, কনট্যাক্ট লেন্স ব্যবহারের কিছু নির্দিষ্ট নিয়মও রয়েছে। তা মেনে না চললে অনেক সময়েই ব্যাক্টিরিয়াল ইনফেকশন, ড্রাই আইজ় ইত্যাদি সমস্যা হতে পারে। এ ক্ষেত্রে অধিকাংশ ক্ষেত্রে লেন্স পরার সময়ে বা পরা অবস্থায় চোখে ব্যথা, চুলকানি, লাল ভাব দেখা দেয়। অনেক সময়েই রোগী চোখ টানা খুলে রাখতে পারেন না। সঙ্গে ঝাপসা দেখা বা একেবারেই দেখতে পাচ্ছেন না, এমনটাও হতে পারে।
কেরাটোকোনাসের মতো কিছু জটিল রোগের ক্ষেত্রে অবশ্য অনেক সময়ে চিকিৎসকেরা নিজেরাই কনট্যাক্ট লেন্স ব্যবহারের পরামর্শ দেন। ডা. দাস বলছেন, “অনেক বাচ্চারই জন্মের সময় চোখে ছানি থাকে। এক-দেড় মাস বয়সে তাঁদের ছানি অপারেশন করা হয়। সে সময়ে কনট্যাক্ট লেন্স ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়। সে ক্ষেত্রে নিয়ম মেনে চলা জরুরি।”
লেন্স ব্যবহারের নিয়মাবলি
চিকিৎসা
লেন্স থেকে ব্যাক্টিরিয়াল ইনফেকশন হওয়া স্বাভাবিক ঘটনা হলেও, অধিকাংশ সময়েই তা গুরুতর আকার ধারণ করে। এমনকি স্থায়ী সমস্যাও হতে পারে। পুরোপুরি দৃষ্টিশক্তিও হারাতে পারেন রোগী। সে কারণেই সফট কনট্যাক্ট লেন্সের ক্ষেত্রে চিকিৎসকেরা নিজে থেকে রোগীকে কখনও তা ব্যবহারের পরামর্শ দেন না। ডা. মৃণ্ময় বলছেন, লেন্স ব্যবহার যাঁরা করেন, চোখে তাঁদের সামান্য সমস্যা হলে তৎক্ষণাৎ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। সঙ্গে নিয়ে আসুন ব্যবহার করা লেন্স ও সলিউশনও। চিকিৎসকেরা রোগীর চক্ষু পরীক্ষার পাশাপাশি সেগুলোও পরীক্ষা করে দেখেন। এতে ঠিক কোন ধরনের ব্যাক্টিরিয়া থেকে চোখে সংক্রমণ হয়েছে, তা নির্ধারণ করা সহজ হয়। কোন ধরনের অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধে কাজ দেবে, তা-ও বোঝা যায়।
সতর্ক থাকুন
খেয়াল রাখুন
তবে ডা. মৃণ্ময় আশ্বস্ত করছেন, নিয়ম মেনে ব্যবহার করলে লেন্স থেকে কোনও সমস্যা হয় না। টানা ৩০-৪০ বছরও অনেকে লেন্স ব্যবহার করে থাকেন। হাইজিন ও নিয়ম মেনে চলতে পারলে বাচ্চারাও লেন্স ব্যবহার করতে পারে। সে ক্ষেত্রে অভিভাবকদেরও সতর্ক হওয়া প্রয়োজন।
মডেল: সুস্মিতা চট্টোপাধ্যায়; ছবি:অমিত দাস
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy