সন্তান জন্মানোর পরে ছ’মাস পর্যন্ত ব্রেস্টফিড করানোর পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকরা। কিন্তু বিভিন্ন কারণে অনেকেই ভরসা রাখেন ফর্মুলায়। অনেক মাকে কাজেও বেরোতে হয়। ফলে ব্রেস্টমিল্ক স্টোর করে রেখেও খাওয়ান অনেকে। কিন্তু বুকের দুধ কিংবা ফর্মুলা কতক্ষণ পর্যন্ত স্টোর করা যায়, কী ভাবে খাওয়ানো যেতে পারে তা নিয়ে অনেক দ্বন্দ্ব রয়েছে। এ বার ঠিকটা জানার পালা...
কতক্ষণ স্টোর করা যায় দুধ?
শিশুচিকিৎসক অপূর্ব ঘোষ বললেন, ‘‘ব্রেস্টমিল্ক সরাসরি খাওয়ানোই ভাল। কিন্তু তা সম্ভব না হলে স্টোর করতে পারেন। ২৬ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডের কম তাপমাত্রায় রাখলে ৬-৮ ঘণ্টা পর্যন্ত স্টোর করতে পারেন। শিশুকে খাওয়ানোর কিছুক্ষণ আগে তা বার করে রুম টেম্পারেচারে এনে খাওয়াতে হবে।’’ শিশুচিকিৎসক ত্রিদিব বন্দ্যোপাধ্যায় বললেন, ‘‘ব্রেস্ট মিল্ক পাম্প করার পরে ফ্রিজে ৫-৬ ঘণ্টা পর্যন্ত রেখে খাওয়াতে পারেন।’’ শীতাতপ-নিয়ন্ত্রিত ঘরেও দুধ রাখা যায় ২৬ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রার নীচে।
ফর্মুলা মিল্ক জলে গোলার পরে আধ ঘণ্টা থেকে চল্লিশ মিনিটের মধ্যে খাইয়ে দিতে হবে। এক ঘণ্টা পার হয়ে গেলে সে দুধ খাওয়াবেন না। তাই সন্তান কতটা দুধ খাবে, তা আন্দাজ করে কম করে গুলে নিন। দরকার মতো পরে আবার গুলে নেবেন।
খেয়াল রাখবেন
•গুঁড়ো দুধ জলে গোলার আগে দেখে নিন তা যেন ঈষদুষ্ণ হয়। খুব গরম দুধ খাওয়াবেন না। দুধ খুব গরম থাকলে তা ঠান্ডা করে রুম টেম্পারেচারে এনে খাওয়ান।
•দুধ খাওয়ার বোতল অবশ্যই চার থেকে ছ’মাস অন্তর বদলাতে হবে।
•বোতল কেনার সময়ে দেখে নেবেন তা যেন বিপিএ-ফ্রি হয়। স্টিলের বোতলও কিনতে পাওয়া যায়। একটু দাম বেশি হলেও তা পাল্টানোর প্রয়োজন নেই। নিপল পাল্টালেই তা অনেক দিন ব্যবহার করা যায়।
•ডা. ত্রিদিব বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, ‘‘একবার শিশু দুধ খাওয়ার পরে সেই বোতল স্টেরিলাইজ় করতে হবে। স্টেরিলাইজ় না করে সেই বোতলে আবার দুধ গুলে কিন্তু খাওয়ানো যাবে না।’’
অনেকেই ব্রেস্টপাম্প ব্যবহার করতে ভয় পান। চিকিৎসক অপূর্ব ঘোষের মতে, এতে ভয়ের কিছু নেই। তবে শিশুকে সরাসরি ব্রেস্টফিড করানোই সবচেয়ে ভাল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy