সামনেই বাসন্তীপুজো। এই সময়েই অবাঙালিদের মধ্যে চৈত্র নবরাত্রি পালন করার রীতি। নবরাত্রি উপলক্ষে অনেকেই নির্জলা উপোস করেন। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী মোদী জানিয়েছেন, তিনিও নবরাত্রি উৎসব পালন করেন। সারা দিন সেই অর্থে কিছু না খেলেও কাজ করতে কোনও রকম অসুবিধা হয় না তাঁর, বরং তিনি কাজে উৎসাহ পান। তিনি বলেন, “আমার কাছে উপবাস শব্দের অর্থ নিষ্ঠা, নিয়মানুবর্তিতা। শারদ এবং চৈত্র— বছরে এই দু’টি নবরাত্রি আমি পালন করি।”
প্রধানমন্ত্রীর শরীরচর্চা, ডায়েট এবং ফিটনেস নিয়ে সকলেরই কৌতূহল রয়েছে। প্রায়শই তিনি নিজের ডায়েট এবং ফিটনেস রুটিন সাধারণ মানুষের সঙ্গে ভাগ করে নেন। আট থেকে আশি— সকলকেই ভাল থাকার পরামর্শ দেন ৭৪ বছর বয়সি এই ‘যুবা’। সজনে পাতা দিয়ে তৈরি পরোটা থেকে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলার কাড়া— সুস্থ থাকতে কখন কী খান, তা-ও জানান সময়ে সময়ে। সকালে ঘুম থেকে উঠে ঈষদুষ্ণ জলে চুমুক দেওয়া তাঁর বহু বছরের অভ্যাস। চৈত্র নবরাত্রি উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী ন’দিন ধরে ফল ছাড়া অন্য কোনও খাবার স্পর্শ করেন না। তিনি বলেন, “ন’দিন ধরে আমি শুধু ফল খাই। সারা দিনে এক বার এক ধরনের ফলই খাই। পঞ্চাশ-পঞ্চান্ন বছর ধরে আমি ডায়েট পালন করে আসছি।”
আরও পড়ুন:
সকালে খালি পেটে ঈষদুষ্ণ জল খাওয়ার উপকারিতা:
সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে ঈষদুষ্ণ জল খান অনেকেই। এই পন্থা বিপাকহার বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে। পাশাপাশি, শরীরে জমে থাকা দূষিত পদার্থ বা ‘টক্সিন’ দূর করতেও সাহায্য করে। হজমশক্তি ভাল রাখতেও সাহায্য করে এই পন্থা। শ্বাসযন্ত্রের সমস্যায় গরম জল খেলেও আরাম মেলে। তবে চিকিৎসকেরা বলছেন, জলের তাপমাত্রা সম্পর্কে সচেতন না হলে কিন্তু হিতে বিপরীত হতে পারে। খুব গরম জল খেলে জিভ পুড়ে যেতে পারে। খাদ্যনালি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কাও উড়িয়ে দেওয়া যায় না। নিয়মিত গরম জল খেলে দাঁতের উপর থাকা এনামেলের স্তর উঠেও যেতে পারে।
সারা দিন ধরে এক রকমের ফল খেয়ে থাকার বিশেষ কোনও উপকার রয়েছে?
ফল খেয়ে উপোস ভাঙার রেওয়াজ বহু পুরনো। তবে ওজন ঝরানোর জন্য আজকাল অনেকেই ‘ওয়ান ফ্রুট ডায়েট’ পন্থা মেনে চলেন। এই ডায়েট করলে সারা দিনে যে কোনও এক ধরনের ফল খেয়ে থাকতে হয়। যে দিন যে ফল খাবেন, গোটা দিন ধরে শুধু সেটিই খেতে হবে। অন্য কিছু খাওয়া যাবে না। পুষ্টিবিদেরা বলছেন, ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার পাশাপাশি হজমশক্তি উন্নত করতে, শরীরে জমা টক্সিন দূর করতেও সাহায্য করে এই ডায়েট। সামগ্রিক ভাবে হার্টেরও যত্ন নেয়। তবে এই ডায়েট সকলের জন্য নয়। এই পথে এগোনোর আগে চিকিৎসক বা পুষ্টিবিদের সঙ্গে পরামর্শ করে নেওয়াই উচিত।