চোখ কিংবা ঠোঁটের চারপাশে পড়া সূক্ষ্ম ভাঁজ কিংবা বলিরেখা নিয়ে যতটা চিন্তা হয়, আলগা হয়ে যাওয়া গলার চামড়া নিয়ে ততটা ভাবা হয় না। এ দিকে বয়স কিন্তু গলাতেও তার ছাপ রাখতে ভুলছে না। দোকান থেকে দাম দিয়ে কেনা অ্যান্টি-রিঙ্কল ক্রিম মুখের ক্ষেত্রে কার্যকরী হলেও গলার ত্বক টান টান করা সহজ নয়।
রূপচর্চা শিল্পীরা বলছেন, ত্বকে কোলাজেনের পরিমাণ কমে গেলে ইলাস্টিসিটি নষ্ট হয়। যে কারণে গলার চামড়া শিথিল হয়ে পড়ে। তবে শুধু বয়স নয়, দূষণ, ধূমপান, মানসিক চাপ, অতিবেগনি রশ্মি কিংবা শোয়ার দোষেও কিন্তু গলায় বলিরেখা পড়তে পারে। সাধারণ অ্যান্টি-রিঙ্কল ক্রিম মেখে এই সমস্যা প্রতিরোধ করা সহজ নয়। অনেকেই মুখের ব্যায়ামের উপর ভরসা রাখেন, তাতেও কাজ হয়। তার সঙ্গে আর কী কী করতে হবে?
আরও পড়ুন:
১) স্যালিসিলিক কিংবা গ্লাইকোলিক অ্যাসিড:
ত্বকের চিকিৎসকেরা বলছেন, নিয়ম করে সপ্তাহে দু’বার স্যালিসিলিক অ্যাসিড কিংবা গ্লাইকোলিড অ্যাসিড ব্যবহার করতে পারলে এই ধরনের সমস্যা থেকে রেহাই মিলতে পারে। তবে এক দিন মেখেই ফলের আশা করলে হবে না। অন্ততপক্ষে মাসখানেক ব্যবহার করলে তফাত বুঝতে পারবেন।
২) রেটিনয়েড:
বয়স বাড়লে ত্বকের নিজস্ব প্রোটিন, অর্থাৎ কোলাজেন উৎপাদনের পরিমাণ কমতে থাকে। তখন ত্বক হয়ে পড়ে জেল্লাহীন। ত্বকে বলিরেখার সূত্রপাত ঘটে তখন থেকেই। এই রেটিনয়েড কিন্তু বাইরে থেকে ত্বকে কোলাজেন উৎপাদনে সহায়তা করে। ফলে বলিরেখা পড়ার সমস্যা অনেকটা রোধ করা যায়। অতিবেগনি রশ্মি থেকে ত্বকে যে ধরনের ক্ষতি হয়, তা-ও রুখে দিতে পারে।
৩) হায়ালুরোনিক অ্যাসিড-যুক্ত ময়েশ্চারাইজ়ার:
হায়ালুরকনিক অ্যাসিড দেওয়া ময়েশ্চারাইজ়ার মাখলেও উপকার মিলতে পারে। দোকান থেকে তেমন ময়েশ্চারাইজ়ার কিনতে পারেন, না হলে আলাদা করে হায়ালুরোনিক অ্যাসিড কিনে রোজের ময়েশ্চারাইজ়ারের সঙ্গে মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন। ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতে দারুণ ভাবে সাহায্য করে এই অ্যাসিডটি।