ফোকতে দারায় ভোর, সামনে কাঞ্চনজঙ্ঘা। ছবি: ইনস্টাগ্রাম
পাহাড়ি রাস্তায় হাঁটতে ভালবাসেন? হাতে ৪-৫ দিন ছুটি পেলে উত্তরবঙ্গে সান্দাকফু ঘুরে আসেন? কিন্তু ওই একই পথে বারবার হেঁটে এ বার একটু একঘেয়ে লাগছে? অথচ দূরের পাহাড়ে যাওয়ার সময় নেই? তা হলে আপনার জন্য আছে আরও বেশ কয়েকটি ছোট ‘ট্রেকিং রুট’।
সান্দাকফু থেকে বহু বার কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখেছেন। কিন্তু এখন সান্দাকফু যেতে গায়ে জ্বর আসে কি? তার সবচেয়ে বড় কারণ কি প্রচুর পর্যটকের ভিড়? তা হলে ফোকতে দারা আপনার জন্য একেবারে আদর্শ পথ। এখান থেকেও পরিষ্কার দেখা যায় কাঞ্চনজঙ্ঘা। পূর্ব দিকে একটু ঘাড় ঘোরালেই দেখা যায় এভারেস্ট। অথচ পর্যটকের ভিড় নেই।
যাওয়ার পথ সিঙ্গালিলা ন্যাশনাল পার্কের ভিতরের জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে। কিছুটা সিকিমে। সব মিলিয়ে দিন সাতেকের মধ্যেই সেরে ফেলতে পারেন এই ছোট্ট ট্রেকিং। ফুসফুস এবং পা আপনার কথা শুনলে, দিন পাঁচেকই যথেষ্ট।
ট্রেক শুরু হবে হিলে থেকে। নিউ জলপাইগুড়ি থেকে সহজেই গাড়ি করে পৌঁছে যাওয়া যায় সেখানে। হিলে গ্রামে রাত্রিবাস করে পরদিন শুরু হোক হাঁটা। প্রথম দিনেই পৌঁছে যেতে পারেন বার্সে। জঙ্গলের ভিতর দিয়ে পথে আপনার সঙ্গী হবে সামনে উঁকি মারা কাঞ্চনজঙ্ঘার মাথা।
এ রাজ্যের ট্রেকারদের মধ্যে এখনও সে ভাবে জনপ্রিয় নয় এই পথ। কিন্তু যাঁরা যান, তাঁরা সাধারণত প্রথম রাতটা কাটান বার্সেতেই। তার পরের রাতগুলো যথাক্রমে জরিবুটি এবং কালিঝোরা। কালিঝোরা থেকেই ঘুরে আসা যায় সিঙ্গালিলা পাস। কালিঝোরার ক্যাম্প থেকে ভোরবেলা দেখে আসতে হয় ফোকতে দারায় সূর্যোদয়। ফেরার পথে ফোকতে থেকে সিকিমের উতরে। সেখান থেকেই নিউ জলপাইগুড়ি ফেরা।
দৃশ্যত ফোকতে দারা আর সান্দাকফুর শেষ পর্যায়ে বিশেষ কোনও পার্থক্য নেই। কিন্তু নতুন প্রজন্মের পর্বতবিলাসীদের কাছে ক্রমশ জনপ্রিয় হচ্ছে ফোকতের মতো জায়গা। কারণ একটাই, এখনও সে ভাবে পর্যটকদের মধ্যে জনপ্রিয় হয়নি এই এলাকাটি। শুধু তা-ই নয়, যেহেতু সান্দাকফু পর্যন্ত গাড়ি করেই পর্যটকেরা পৌঁছে যেতে পারেন, তাই সেখানে ভিড় স্বাভাবিক ভাবেই বেশি। তার ছাড়াও, এই পথের উপরি পাওনা তাঁবুতে রাত্রিবাস।
হাতে যদি ৬-৭ দিনের ছুটি থাকে, আর পাহাড়ি পথ পছন্দ হয়, তবে হেঁটে আসতে পারেন ফোকতে দারা পর্যন্ত। দেখে আসতে পারেন নতুন একটা প্রান্ত থেকে সূর্যোদয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy