প্রতীকী ছবি।
টানা কয়েক রাত ঘুম হচ্ছে না? এর দায় চাঁদেরও হতে পারে। এমনই বলছে, হালের গবেষণা।
মানুষের ঘুমের ধরন নিয়ে গবেষণা করেছেন সুইডেনের উপসালা বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েক জন গবেষক। তাঁদের সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, মানুষের ঘুম কমে যাওয়া বা বেড়ে যাওয়ার সঙ্গে চাঁদের অবস্থানের যোগ রয়েছে।
পৃথিবীর নানা প্রান্তের, নানা ভৌগোলিক পরিবেশের মানুষের ঘুমের সময় নিয়ে সমীক্ষা চালিয়েছেন গবেষকরা। তার মধ্যে যেমন রয়েছে দক্ষিণ আমেরিকার প্রত্যন্ত গ্রাম, তেমনই রয়েছে ইউরোপের বড় শহর বা এশিয়ার উপকূলবর্তী ছোট্ট জনপদ। সব জায়গার মানুষেরই ঘুমের ধরন বদলে যায় চাঁদের অবস্থানের সঙ্গে। চাঁদের আকার বড় হলে, ঘুম কমে। আর চাঁদের আকার যত ছোট হয়, ঘুম তত বাড়ে। এমনই বলেছেন গবেষকরা। এমনকি, আকাশ মেঘলা থাকুক আর পরিষ্কার থাকুক— তাতেও হেরফের হয় না ঘুমের অভ্যাসের।
কেন এমন হয়? তাঁর সম্ভাব্য কারণও বলেছেন নৃতত্ত্ববিদরা। আকাশে ঝলমলে চাঁদ থাকলে আদি যুগে মানুষ শিকাড়ে যেত। সেই কারণেই জিনের মধ্যে এই অভ্যাস রয়ে গিয়েছে। তাই এখনও পূর্ণিমা থেকে অমাবস্যার দিকে গেলে, মানুষের ঘুম বাড়ে। আর উল্টোটা হলে ঘুম কমে।
তবে উপসালা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণায় আরও একটি কথা উঠে এসেছে। আকাশে চাঁদের অবস্থান মহিলাদের ঘুমের উপর যতটা প্রভাব ফেলে, তার চেয়ে বেশি ফেলে পুরুষদের উপর। নৃতত্ত্ববিদরা এরও ব্যাখ্যা দিয়েছেন। রাতে সাধারণত পুরুষরাই বেশি শিকাড়ে যেত, সেই কারণেই আকাশে উজ্জ্বল চাঁদ থাকলে পুরুষদের ঘুম বেশি মাত্রায় কমে যায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy