কিংবদন্তি মার্শাল আর্ট শিল্পী, অভিনেতা ব্রুস লি। ছবি- সংগৃহীত
১৯৭৩ সালে মাত্র ৩২ বছর বয়সে মারা গিয়েছিলেন কিংবদন্তি মার্শাল আর্টস শিল্পী, ‘এন্টার দ্য ড্রাগন’ ছবির মুখ্য অভিনেতা ব্রুস লি।
প্রায় ৫০ বছর আগে সেই ময়নাতদন্তের রিপোর্টে মৃত্যুর কারণ সম্বন্ধে লেখা হয়েছিল, ব্যথা কমানোর ওষুধ খাওয়ার ফলে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণই তাঁর মৃত্যুর জন্য দায়ী।
সম্প্রতি সেই প্রসঙ্গই আবার খবরের শিরোনামে উঠে এসেছে, নতুন একটি তথ্য হাতে আসার পর। বিজ্ঞানীরা সব তথ্যপ্রমাণ ঘেঁটে উদ্ধার করেছেন যে, অত্যন্ত স্বাস্থ্য সচেতন, সুস্বাস্থ্যের অধিকারী ব্রুস লির মৃত্যু ‘হাইপোনেট্রিমিয়া’র কারণেও হতে পারে।
‘হাইপোনেট্রিমিয়া’ কী?
রক্তে সোডিয়াম বেশি থাকা যেমন ঠিক নয়, তেমনই কোনও কারণে রক্তে সোডিয়ামের মাত্রা অস্বাভাবিক ভাবে কমে যাওয়াও স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক। শুধু তাই নয়, শরীর থেকে সোডিয়াম কমে গেলে মানুষের মৃত্যু পর্যন্ত ঘটতে পারে।
রক্তে সোডিয়ামের মাত্রা কমে যায় কেন?
বাইরে থেকে ওষুধ দিয়ে নিয়ন্ত্রণ না করেও শুধু জল খেয়েই রক্তে সোডিয়ামের মাত্রা কমিয়ে ফেলা যায়। এ ছাড়াও চিনে প্রায় প্রত্যেক নাগরিকই বিশ্বাস করেন জল দিয়েই নাকি শরীরের সব রোগকেই বশে রাখা যায়। জীবন সম্পর্কে চিনাদের দর্শনই আলাদা। সেই দর্শন মেনেই ব্রুস লিও তাঁর জীবনে জলকে পরম বন্ধুর আসনে বসিয়েছিলেন। লি-র জীবনে বেদবাক্য ছিল, ‘বি ওয়াটার, মাই ফ্রেন্ড’।
কিন্তু সেই বন্ধুই লি-র জীবনে বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়াল। অতিরিক্ত জল খাওয়ার ফলে যেমন কিডনির উপর চাপ পড়ে। কিডনি অতিরিক্ত তরল ছেঁকে দূষিত পদার্থ শরীর থেকে বার করতে পারে না। ফলে শরীরে বিভিন্ন অংশে সেই তরল জমতে শুরু করে। ব্রুস লি-র মস্তিষ্কেও সম্ভবত সেই ভাবেই জল জমতে শুরু করে। পরবর্তী কালে সেখান থেকে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণও শুরু হয়েছিল বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
যদিও জল নিয়ে ব্রুস লি যে দর্শন, তা বিশ্বব্যাপী সমাদৃত। ‘বি লাইক ওয়াটার’ আদর্শে উদ্বুদ্ধ সাধারণ মানুষ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy