Advertisement
০৬ নভেম্বর ২০২৪
Inspirational Story

দিনে অফিসের কর্মী, রাতে ক্যাবচালক! বাবার পাশে দাঁড়াবেন বলে অক্লান্ত পরিশ্রম দিল্লির যুবকের

বাবাকে যেন সংসারের জোয়াল একা না টানতে হয়। তাই সারা দিন অফিসে কাজ করার পর রাতে উবর চালান দিল্লির এক যুবক অবনীশ। সম্প্রতি অবনীশের এই লড়াইয়ের কথা প্রকাশ্যে এনেছেন এক ব্যক্তি।

গাড়ি চালাতে তিনি পারদর্শী নন।

গাড়ি চালাতে তিনি পারদর্শী নন। প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৪ অক্টোবর ২০২২ ১৬:২৩
Share: Save:

দিনে ই-কমার্স সংস্থার কর্মী। রাত হলে সেই তিনিই আবার উবর চালক। ৬৫ বছর বয়সি বাবাকে সাহায্য করতেই এমন উদয়াস্ত পরিশ্রম করছেন দিল্লির বাসিন্দা ওই ব্যক্তি। সম্প্রতি অবনীশের কথা সামনে আসতেই তাঁকে শুরু হয়েছে চর্চা।

৩৫ বছর বয়সি অবনীশ। ছোট থেকেই পড়াশোনায় যথেষ্ট মেধাবী তিনি। শুধু পড়াশোনা নয়, খেলাধুলাতেও তাঁর নেশা ছিল। দিল্লিতে অনূর্ধ্ব ১৯ দলের হয়ে ক্রিকেটও খেলতেন তিনি। পরিবারের অবস্থা ততটাও স্বচ্ছল ছিল না। তাই ১৮ বছর বয়স থেকেই খেলাধুলা ও পড়াশোনার পাশাপাশি ছোটখাটো কাজও করতেন। যেটুকু উপার্জন করতেন, তা বাবার হাতে তুলে দিতেন। সংসারে জোয়াল যাতে একা বাবাকে না টানতে হয়, সে বিষয়ে ছোট থেকে সতর্ক ছিলেন তিনি। বড় হওয়ার পর সেই দায়িত্ব যেন আরও জাঁকিয়ে বসেছে। বাবার বয়স হয়েছে। আগের মতো খাটতে পারেন না। তাই বলে বসেও থাকেন না। কিন্তু অবনীশ চান না যে তাঁর বাবা এখনও কষ্ট করুক। তাই পড়াশোনা শেষ করার কিছু দিনের মধ্যেই একটি ই-কমার্স সংস্থায় চাকরি জোগাড় করেন। কিন্তু ওই চাকরির বেতন এতই কম যে, তা দিয়ে সংসার চালানো খুব কষ্টকর হয়ে পড়ছিল। এই চাকরির সঙ্গেই অন্য একটি কাজের খোঁজ করছিলেন অবনীশ। সেই সময়ে এই উবর চালকের নিয়োগের বিজ্ঞাপনটি চোখে পড়ে। গাড়ি চালাতে তিনি পারদর্শী নন। তবে অল্প চালাতে জানেন। তবু পিছিয়ে না এসে সাহস করেই এই কাজটি শুরু করেন। সকাল থেকে সারা দিন অফিসের কাজ করেন। অফিসে ছুটির পর উবর চালান।

সম্প্রতি এক ব্যক্তি অবনীশের উবরে সওয়ারি হয়েছিলেন। তিনি অবিনাশের মুখ থেকেই তাঁর জীবনের কাহিনি ক্যামেরবন্দি করেছেন। নেটমাধ্যমে সেই ভিডিয়ো ছড়িয়ে দিতেই প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছেন অনেকে। পোস্ট হতে না হতেই ভিডিয়োটি প্রায় ১.৩ লক্ষ মানুষ দেখে ফেলেছেন।

অন্য বিষয়গুলি:

Inspirational story Delhi
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE