বিমানের খাবার বাজে? ছবি: সংগৃহীত।
রেস্তরাঁ থেকে আনা পছন্দের যে পাস্তা গত রাতেও খেয়েছেন, সেইটিই বিমানে উঠে অর্ডার করেছিলেন। বিমান মাটি ছাড়ার বেশ কিছু ক্ষণ পর সেই খাবার যখন হাতে পেলেন, বেশ গরমই ছিল। কিন্তু মুখে তুলতেই বিপদ ঘনিয়ে এল। পছন্দের সেই পাস্তা একেবারেই খেতে পারছেন না। ভাল না মন্দ— তা বোঝার মতো অবস্থাই নেই। না আছে নুন, না আছে মিষ্টি, খুব যে ঝাল লাগছে, তা-ও নয়। অদ্ভুত এক রকম স্বাদ। এমন সমস্যায় পড়লে প্রথমেই সমস্ত রাগ গিয়ে পড়ে বিমান সংস্থার উপর। তবে দোষ কিন্তু শুধু বিমান সংস্থার নয়। একটি গবেষণায় প্রকাশিত হয়েছে সে কথা।
টাকা দিয়ে কেনা খাবার নষ্ট করতেও গায়ে লাগে। এ দিকে, আন্তর্জাতিক বিমানে দীর্ঘ ক্ষণ থাকতে হয়, সে ক্ষেত্রে কিছু না খেয়ে পেটে দড়ি দিয়ে বসেও থাকতে পারবেন না। সেই খাবার যদি মুখে তোলাই না যায়, তা হলে রাগ হওয়ারই কথা। তবে গবেষণায় বলা হয়েছে, বিমানে ওঠার কিছু ক্ষণ পর অর্থাৎ, একটি উচ্চতায় পৌঁছে যাওয়ার পর, বাতাসের চাপ কমতে শুরু করে। বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণও বেশ কমে যায়। যার ফলে জিভের সংবেদনশীলতা কমে যায়। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের মনস্তত্ত্বের শিক্ষক চার্লস স্পেন্সও এই বিষয়ে সহমত প্রকাশ করেন। একই খাবারের স্বাদ চলন্ত বিমান এবং বিমানবন্দরে আলাদা হয়ে যাওয়ার পিছনেও আবহাওয়ার প্রভাব রয়েছে বলে মনে করেন তিনি।
জার্মানির এক বিমান সংস্থা এই বিষয়ে বিমানযাত্রীদের নিয়ে একটি সমীক্ষা করেন। বিমান মাটি ছাড়ার পর ৩৫ হাজার ফুট উপরে উঠলেই জিভের সংবেদনশীলতা কমতে শুরু করে। মিষ্টি বা নোনতা খাবারের স্বাদ পাওয়ার সম্ভাবনা কমে যায় প্রায় ৩০ শতাংশ। তাই খাবারের স্বাদ খারাপ হলে তার সমস্ত দায় সংস্থার উপর বর্তায় না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy