গলায় সর্দি জড়াচ্ছে? ছবি: সংগৃহীত।
শীত পড়তে না পড়তেই সর্দি-কাশি খেলা দেখাতে শুরু করেছে। সারা ক্ষণ খুসখুসে কাশি হয়েই চলেছে। তা নিয়েই ১০-১২ ঘণ্টা অফিসে এসির মধ্যে বসে কাজও করতে হচ্ছে। প্রথম দিকে নাক থেকে জল পড়ছিল। এখন তা কমে গেলেও গলায় সর্দি জড়ানোর সমস্যা রয়ে গিয়েছে। সঙ্গে শুকনো কাশি। কথা বলতে গেলেই গলায় কী যেন জড়াচ্ছে! রাতে ঘুমোতে যাওয়ার সময়ে অস্বস্তি হচ্ছে। গরম জলে গার্গল করলে তৎক্ষণাৎ আরাম মিললেও কিছু ক্ষণের মধ্যেই আবার যে কে সেই। এই ধরনের সমস্যায় শুধু জল দিয়ে গার্গল করে খুব উপকার যদি না মেলে, সে ক্ষেত্রে ঘরোয়া কয়েকটি টোটকা ব্যবহার করে দেখতে পারেন।
১) মেন্থল অয়েল
গলায় সর্দি জড়ানো, শুকনো কাশি বা গলার ঘায়ে দারুণ কাজ করে মেন্থল অয়েল। গরম জলের বাষ্পে কয়েক ফোঁটা মেন্থল অয়েল দিয়ে সেই বাষ্প নিলে এই সমস্যার নিরাময় হবে।
২) আদা
অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি গুণে ভরপুর আদা ‘সোর থ্রোট’ নিরাময়ে সাহায্য করে। রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে এক কাপ আদা দেওয়া চা খেতে পারলে গলায় সর্দি জড়ানোর সমস্যা নিয়ন্ত্রণে আসতে পারে।
৩) জষ্ঠিমধু
গলার যে কোনও সমস্যায় বাঙালির কাছে অন্ধের যষ্ঠি হল জষ্ঠিমধু। গলায় ভাইরাস বা ব্যাক্টেরিয়া জনিত কোনও সমস্যায় দারুণ কাজ করে জষ্ঠিমধু। এই উপাদানের অ্যান্টি-ব্যাক্টেরিয়াল গুণ গলা এবং শ্বাসনালি পরিষ্কার রাখতেও সাহায্য করে।
৪) ইউক্যালিপটাস অয়েল
বন্ধ নাক, গলা ধরা, গলায় সর্দি জড়ানোর সমস্যা দূর করতে পারে ইউক্যালিপটাস অয়েল। গায়ে মাখার যে কোনও তেলের মধ্যে কয়েক ফোঁটা ইউক্যালিপটাস অয়েল মিশিয়ে নিতে পারেন। আবার গরম জলে এই অয়েল কয়েক ফোঁটা মিশিয়ে বাষ্পও নিতে পারেন।
৫) তুলসী
সর্দি-কাশি নিরাময়ে প্রাচীন কাল থেকেই তুলসী ব্যবহার করা হয়। বুকে সংক্রমণ থেকে অ্যালার্জিজনিত সর্দি-কাশি— সবেতেই দারুণ কাজ করে এই ভেষজ। মধুর সঙ্গে তুলসীর যুগলবন্দি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতেও সাহায্য করে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy