এ কেমন চুক্তি! ছবি- সংগৃহীত
বিয়ের পরেও স্বামীকে প্রতি দিন রাত ৯টা পর্যন্ত আড্ডা মারতে দিতে হবে এবং সেই সময় পর্যন্ত তাঁকে কোনও ভাবেই ফোনে পাওয়া যাবে না। চুক্তিপত্রে রীতিমতো কনের সই নিয়ে তবেই বিয়ের পিঁড়িতে বসলেন বর।
সমাজে প্রচলিত একটি কথা, বিয়ের পর পুরুষদের ইচ্ছা বা অনিচ্ছা বলে নাকি কিছুই থাকে না। নতুন বিয়ে করা স্ত্রীর হাতেই নাকি তাঁর স্থাবর-অস্থাবর যাবতীয় সব কিছু বন্ধক দিতে হয়। কখন বাড়িতে ফিরবেন, কখন বেরোবেন, কখন কার সঙ্গে কথা বলবেন সব কিছুর চাবিকাঠি তখন একজনের হাতেই। তাই সবচেয়ে বেশি বঞ্চিত হয় বরের বন্ধুরা। উপায়ান্তর নেই দেখে বেশির ভাগ পরিবারের লোকজন এই পরিবর্তন মেনে নিলেও, বন্ধুরা তা মানতে নারাজ।
ভবিষ্যতে এমন কিছু হতে পারে তা আন্দাজ করেই বরের বন্ধুরা এই পরিকল্পনা করেছিলেন। কিন্তু বর যে বাস্তবেই চুক্তিপত্র তৈরি করে তবেই বিয়ের পিঁড়িতে বসবেন, ভাবতে পারেননি কেউই।
বিয়েতে বন্ধুদের নানা রকম ‘অদ্ভুত’ উপহার দিয়ে চমকে দেওয়ার রেওয়াজ রয়েছে নানা রাজ্যেই। এ ক্ষেত্রেও তা-ই ঘটেছিল। ৫ নভেম্বর বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন এই দম্পতি। বিয়েতে বসার আগেই রঘুর বন্ধুরা ওই চুক্তিপত্রটি অর্চনার হাতে তুলে দেন। বিয়ের আগে বর এবং তার বন্ধুদের শর্ত মেনে, চুক্তিপত্রে সই করছেন এমন ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে পোস্ট করতেই তা রীতিমতো ভাইরাল হয়ে গিয়েছে।
সূত্রের খবর, ৫০ টাকার স্ট্যাম্প কাগজে সই করার আগে উপস্থিত সকল আমন্ত্রিতের সামনে পড়ে শোনাতেও হয়। শুধু তাই নয়, কাজে কোনও ফাঁক রাখতে চাননি রঘু। পরে যদি কথার এদিক ওদিক হয়, তাই রীতিমতো সাক্ষ্যপ্রমাণ রেখেই চুক্তিপত্রে সই করতে হয়েছে অর্চনাকে। সই-সাবুদের পরই নাকি বিয়েতে বসেছেন কেরালানিবাসী রঘু।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy