বাজি পোড়ানোর আগে মেনে চলুন কিছু বিষয়। ছবি: শাটারস্টক।
দীপাবলির রাত মানে অনেকের কাছেই আগুন নিয়ে খেলা৷ প্রদীপ, মোমবাতি, বাজি কোনটা যে কাকে পোড়াবে, কী ভাবে পোড়াবে এই নিয়েই শুরু হয় কাড়াকাড়ি। অনেক সময় সাবধান হয়েও পার পাওয়া যায় না, কখনও বা মেলেই না সাবধান হওয়ার ফুরসত৷
অন্য বাড়ির হাউই উড়ে এসে পড়লে কী করবেন? নিভন্ত তুবড়ি হঠাৎ জ্বলে উঠে হাত–পা–মুখ পুড়িয়ে দিলেই বা কী করার আছে? প্রদীপের আলোয় শাড়িতে আগুন লাগার ঘটনাও নতুন নয়।
প্রতি বছর এমনই হয় নিয়ম করে৷ ভিড় বাড়ে হাসপাতালে৷ সচেতনতার অভাবে পুড়ে গেলে প্রাথমিক ভাবে কী করতে হয় তা জানা না থাকায় বহু রোগীকেই শেষ পর্যন্ত বাঁচানো যায় না৷ বা বাঁচলেও স্বাভাবিক চেহারা ও কর্মক্ষমতায় ফেরানো কঠিন হয়৷ কী ভাবে এই বিপদ এড়ানো যেতে পারে জানেন?
আরও পড়ুন: বদহজম-অম্বল থেকে চর্মরোগ, সত্যিই ভিলেন লিভার? অসুখ এড়াবেন কী করে
আগুন লাগলে
জামাকাপড়ে আগুন ধরে গেলে খোলার ঝঞ্ঝাটে না গিয়ে জল ঢেলে আগুন নেভান৷ ঠান্ডা জল ঢালতে থাকুন মিনিট দশেক৷ শাওয়ারের নিচে স্নান করানো যেতে পারে৷ হাত–পা পুড়ে গেলে বরফ মেশানো জলে শরীরের পোড়া অংশ ডুবিয়ে দিতে পারেন৷ এর পর পরিষ্কার, শুকনো, নরম কাপড় দিয়ে আলগা হাতে জল শুকিয়ে নিন৷ পোড়া অংশে নোংরা কাপড় যেন না লাগে৷ এতে সংক্রামিত হয়ে বিপদ বাড়তে পারে৷ পভিডন–আয়োডিন দ্রবণ বা মলম লাগিয়ে পরিষ্কার কাপড় অথবা জীবাণুমুক্ত গজ চাপা দিয়ে ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করুন৷ ব্যথা কমাতে প্যারাসিটামল খেতে পারেন৷
শিশুকে বাজির সামনে একা ছেড়ে দেবেন না।
কী করবেন না
কম্বল বা ভারী কাপড় চাপা দিয়ে আগুন নেভালে পোড়ার গভীরতা বাড়ে৷ হাতের কাছে জল না পেলে করতে পারেন৷ তবে তারপরই জল ঢেলে শরীর ঠান্ডা করতে হবে৷ আগুন লাগা অবস্থায় ছুটোছুটি করবেন না৷ আগুন আরও ছড়িয়ে পড়বে৷ পোড়া অংশে হাওয়া লাগাবেন না৷ যন্ত্রণা এবং সংক্রমণ এতে বাড়বে৷ নারকেল তেল লাগাবেন না৷ সংক্রমণ হতে পারে৷ গ্রামেগঞ্জে কলাপাতায় শুইয়ে রাখার চল আছে৷ এতেও কিন্তু সংক্রমণের যথেষ্ট শঙ্কা আছে৷ অল্পস্বল্প পোড়া অবহেলা করা উচিত নয়৷ হাতের আঙুল হলে তো বিশেষ করে৷ আঙুল বেঁকে কর্মক্ষমতা নষ্ট হয়ে যেতে পারে৷ ঘা না শুকনো পর্যন্ত ময়লা, তেল, জল যেন না লাগে৷ সেফটিপিন বা সূচ পুড়িয়ে ফোস্কা গেলে দেন অনেকে৷ পিঠে, কোমরের নিচে, হাতের চেটো বা ভেতরের দিকে, পায়ের নীচে বড় ফোস্কা পড়লে এ থেকে বিপদ হতে পারে৷
আরও পড়ুন: ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন বা ইউটিআই ঠেকাতে এখন থেকেই সতর্ক হোন এ ভাবে
দুর্ঘটনা এড়াতে
কালীপুজোর রাতে সুতির ঢিলে পোশাক পরে থাকুন৷ যাতে প্রয়োজনে চট করে খুলে ফেলা যায়৷ জামাকাপড় যেন ঝুলতে না থাকে৷ আঁচল গুঁজে নিন৷ ওড়না খুলে রাখুন৷ অধিকাংশ দুর্ঘটনা ঘটে বাজির আগে ফেটে যাওয়া অথবা সময় পেরিয়ে যাওয়ার পর আচমকা ফাটা৷ কাজেই একান্তই বাজি কিনলে তা একেবারেই শব্দবাজি যেন না হয়, আর সেই সঙ্গে এর মশলা খুব দেখেশুনে কিনুন৷ খানিক ক্ষণ রোদেও দিয়ে রাখতে পারেন৷ পাটকাঠির সাহায্যে দূর থেকে আগুন লাগান৷ পাটকাঠির আঁশ ছাড়িয়ে নেবেন৷ না হলে আঁশে আগুন লেগে তা দ্রুত পিছনে ছড়িয়ে পরতে পারে৷ তুবড়ি বা হাউই জ্বালান মুখ দূরে রেখে৷ খালি পায়ে কখনও বাজি পোড়াবেন না৷ খোলা জায়গায় বাজি পোড়ান৷ এক বালতি জল রাখুন৷ বিপদ হলে সঙ্গে সঙ্গে গায়ে ঢেলে দেওয়া যারে৷ বাচ্চাদের একলা বাজি পোড়াতে দেবেন না৷ মোম বা প্রদীপ মাটিতে না জ্বেলে কোমর বা বুক সমান উচ্চতায় রেখে জ্বালান৷ পভিডন–আয়োডিন মলম এবং জীবাণুমুক্ত গজ হাতের কাছে রাখুন৷
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy