ছোটবেলা থেকেই বিমানসেবিকা হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন কাজল মানহাস। ছবি: কাজল মানহাসের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট থেকে সংগৃহীত।
বিমানসেবিকা হিসাবে নিজের কাজ উপভোগ করেন। তবে উড়ানের সময় যাত্রীদের সমস্ত আচরণই যে তাঁর পছন্দসই হয়, তেমনটা নয়। যাত্রীদের কোন কোন আচরণ বিরক্তিকর? সে ‘গোপন’ কথাটিই ফাঁস করলেন সমাজমাধ্যমে জনপ্রিয় এক বিমানসেবিকা।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ‘ডেইলি স্টার’-এর কাছে বিমানযাত্রীদের বহু আচরণ নিয়ে ‘নালিশ’ করেছেন কাজল মানহাস। পাশাপাশি, উড়ানের সময় যাত্রীদের কী কী করা অনুচিত, সে নিয়েও পরামর্শ দিয়েছেন। ২৬ বছরের ওই বিমানসেবিকা জানিয়েছেন, ছোটবেলা থেকেই এ পেশায় আসার স্বপ্ন দেখতেন। শেষমেশ তাঁর স্বপ্নপূরণ হয়েছে। দীর্ঘ ৮ বছর ধরে এ পেশায় রয়েছেন তিনি। তবে এ কাজকে ভালবাসলেও যাত্রীদের কয়েকটি আচরণ বেশ বিরক্তিকর তাঁর কাছে। কাজল বলেন, ‘‘যে সব যাত্রীরা নিজের কাছে ব্যাগপত্র রেখে দেন, তাঁদের একেবারেই পছন্দ হয় না। বিমানে ওঠার সময় অনেকেই দাঁড়িয়ে থাকেন অথবা এমন দাবি করেন, যা উড়ানে দেওয়া সম্ভব নয়। এ ধরনের যাত্রীদেরও ভাল লাগে না।’’ কাজলের এ তালিকা এখানেই শেষ হয়নি। তাঁর কথায়, ‘‘বিশেষ করে যাঁরা সহবত জানেন না, তাঁদের তো দু’চোখে দেখতে পারি না।’’
আন্তর্জাতিক বিমান সংস্থায় দীর্ঘ দিনের কাজের অভিজ্ঞতায় জোরে বিমানযাত্রীদের উদ্দেশে বেশ কয়েকটি মূল্যবান পরামর্শ দিয়েছেন কাজল। তিনি বলেন, ‘‘বিমানযাত্রায় হিলতোলা জুতো পরবেন না। চেষ্টা করুন যাতে টাইট জামাকাপড় এড়ানো যায়।’’ এর কারণও ব্যাখ্যা করেছেন কাজল। তিনি বলেন, ‘‘সুরক্ষাজনিত কারণেই এ কথা বলা। আপৎকালীন সময়ে বিমান থেকে বার হতে গেলে উঁচু হিলের খোঁচায় এসকেপ স্লাইড বা র্যাফ্টে ফুটো হয়ে যেতে পারে। আবার বিমানে আগুন লাগলে টাইট বা সিন্থেটিক সুতোর জামাকাপড় সুতির তুলনায় শরীরে এঁটে বসে। ফলে অগিকাণ্ডের সময় এ ধরনের জামাকাপড়ে শরীরের ক্ষতির সম্ভাবনা বেশি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy