প্রতীকী ছবি।
এক জন প্রাপ্ত বয়স্কের রোজ সাত থেকে আট ঘণ্টা ঘুমের প্রয়োজন। কিন্তু নানা কারণে অনেকেরই তার চেয়ে কম ঘুম হয়। কম ঘুম বহু শারীরিক সমস্যা ডেকে আনতে পারে। রক্তচাপ বৃদ্ধি, স্নায়ুর সমস্যা তো আছেই, তার সঙ্গে অবসাদের সমস্যাও বাড়তে পারে কম ঘুমোলে। কিন্তু পর্যাপ্ত ঘুম হলেও কারও কারও এই সমস্যা হয়। যদি বার বার তাঁদের ঘুম ভেঙে যায়, তা হলেও একই ধরনের সমস্যায় ভুগতে পারেন তাঁরা। এমনই বলছে হালের গবেষণা।
সম্প্রতি আমেরিকার জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘স্কুল অব মেডিসিন’ বিভাগের গবেষকরা পরীক্ষার মধ্যে দিয়ে দেখিয়েছেন, বার বার ঘুম ভেঙে গেলে তা শরীরের মারাত্মক ক্ষতি করে। সেই ক্ষতির পরিমাণ কম ঘুমের চেয়েও বেশি।
পরীক্ষার জন্য গবেষকরা ৫০ জন স্বেচ্ছাসেবীকে বেছে নিয়েছিলেন। তাঁদের দু’টি দলে ভাগ করা হয়। প্রথম দলের সদস্যদের জোর করে দীর্ঘ ক্ষণ জাগিয়ে রাখা হয়। কিন্তু এক বার ঘুমিয়ে পড়লে, তাদের আর বিরক্ত করা হয় না। দ্বিতীয় দলের সদস্যদের তাড়াতাড়ি ঘুমোতে যেতে দেওয়া হলেও বার বার ঘুম ভাঙানো হয়।
টানা তিন রাত দু’টি দলকে একই পরিস্থিতির মধ্যে রেখেছিলেন চিকিৎসকরা। সেখান থেকে যে ফলাফল পাওয়া গিয়েছে, তা নথিবদ্ধ করা হয়েছে গবেষণাপত্রে। আন্তর্জাতিক ‘স্লিপ’ জার্নালে প্রকাশিত সেই গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, যাঁদের ঘুম বার বার ভেঙেছে, তাঁদের ইতিবাচক মানসিকতার পরিমাণ কমেছে। এমনকি, যাঁরা প্রয়োজনের চেয়েও কম ঘুমিয়েছেন, তাঁদের ক্ষতির পরিমাণও তুলনায় কম।
তবে বিষয়টি শুধু ইতিবাচক মানসিকতা কমে যাওয়াই নয়, তার সঙ্গে বেড়েছে হৃদ্যন্ত্রের গতি। ফলে বেড়েছে হৃদ্রোগের আশঙ্কাও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy