অপরাজিতা আঢ্য
আমার জীবন জুড়ে বহু এমন জিনিস আছে যেগুলোকে আমি সৌভাগ্যসূচক বলে মানি।যেমন, আমি বাড়িতে সবসময় সোফার ডানদিকেই বসি। আর যদি ভারতের খেলা থাকে,ডানপাশে তো বসবই আর নড়াচড়াও করব না। আমার হেয়ার ড্রেসার বন্ধু কবিতা ছাড়া খুব ঠেকায় না পড়লে আমি কারও কাছে সাজি না বা চুল বাঁধি না। ওর কাছে সাজলে মনে হয় শ্যুটিংটা বেশ ভাল হবে। শ্যুটিং ফ্লোরে ঢোকার সময় প্রণাম না করে ঢুকি না। আর বাড়ি থেকে বেরনোর সময় শাশুড়ি মা-কে প্রণাম না করে বেরই না। এটা যদিও কুসংস্কার নয়। আমার ম্যানেজার মনোজও খুব লাকি আমার জন্য। আমার লাকি চার্ম যদি বলেন তা হলে গুরুজির দেওয়া যন্ত্র-র কথা বলব। ওটা হাতে পরি সবসময়। ওটা থাকলে মনে হয় আত্মবিশ্বাস ভীষণ বেড়ে গিয়েছে।
বিশ্বনাথ বসু
আমার তিনটে জিনিস রয়েছে। দুর্গাপুজোটা যেই পেরিয়ে যায়, আমার মনে হয় যেন অভিনয়ের মধ্যে নতুন উদ্যম ফিরে পেলাম। কোথাও বেড়াতে গেলে সেখান থেকে ফিরে এলে ভীষণ মনযোগ দিয়ে কাজ শুরু করতে পারি। আর বউয়ের সঙ্গে ঝগড়ার দিন শ্যুটিংটা খুব ভাল হয়। আমি এটাকে খুব পজিটিভলি নিই। ঝগড়া তো আপনজনের সঙ্গেই হয়। আরও একটা বিষয় আমি লক্ষ করেছি। কোনও একটা দিন যদি আমার খুব ঝামেলার মধ্যে দিয়ে যায় সে দিন সাদা পাঞ্জাবি-পাজামা পরলে যতই সমস্যা হোক মনে ভীষণ শান্তি থাকে। একটা সময় আংটিও ধারণ করেছি। তবে সে বহু বছর আগে। যে জ্যোতিষী যেটা বলেছে পরে ফেলেছি। কিন্তু সে সব এখন অতীত। সে সব সংস্কার বা কুসংস্কার ঝেড়ে ফেলে দিয়েছি।
অরুণিমা ঘোষ
আমি খুব কুসংস্কারগ্রস্ত। এক শালিক, দু’শালিক ভীষণ মেনে চলি। শ্যুটিংয়ে যাওয়ার পথে এক শালিক দেখলে, আমি আর এগই না। গাড়ি থামিয়ে নেমে গিয়ে আমি আর একটা শালিক খুঁজি। সেটা দেখলে তবে আমার শান্তি। ছোটবেলা থেকেই আমার এটা রয়েছে। আমার ব্যাগে একটা ঠাকুরের মন্ত্র লেখা কাগজ থাকে সবসময়। একবার চন্দননগর যাওয়ার সময় ওটা ভুলে বেরিয়ে পড়েছিলাম। মনে পড়তেই মাঝপথ থেকে ফিরে এসে ওটা নিয়ে বেরই। আমার মা আমার জন্য খুব লাকি। মা-কে রোজ শ্যুটিংয়ে বেরনোর সময় বিরক্ত করি। মা-কে একটানা আমার চোখের দিকে তাকাতে বলি। না হলে মনে হয় দিনটাই মাটি হয়ে যাবে।
স্নেহা চট্টোপাধ্যায় ভৌমিক
ছোটবেলা থেকে দেখতাম আমার সঙ্গে খুব অদ্ভুত ঘটনা ঘটত। এক নম্বরের জন্য ফার্স্ট ডিভিশন মিস। একটুর জন্য ফার্স্টক্লাস পেলাম না বা একটুর জন্য
একটা ভাল সুযোগ ফসকে গেল। তখন মা জোর করে আমাকে ইন্দ্রনীলা পরিয়েছিল। ইন্দ্রনীলা পরার পর বেশ ভাল ভাল ঘটনা ঘটতে লাগল। যদিও আমি খুব বিশ্বাস করি এমনটা নয়।
আমার বাবা আমার পাথর পরা শুনে ভীষণ রেগে গিয়েছিলেন। আসলে আমার বাবাই আমার কাছে সুপারম্যান, লাকি চার্ম। এমন কিছু নেই যা উনি পারেন না। আর কোনও বিষয়ে না নেই। আমার মনে হয় পাথর নয় আমি হয়তো কখনও সখনও কম মনযোগ দিয়েছি বলে সুযোগ আর নম্বর হাতছাড়া হয়েছে। মা, বাবা ও স্বামীর এত সাপোর্ট পেয়েছি যে সব কিছুতে ভাগ্য সহায় হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy