—প্রতীকী ছবি।
গ্রীষ্মের কোনও তপ্ত দুপুরে যদি জল আর আখের রস বা কোনও ঠান্ডা পানীয়ের মধ্যে পছন্দ করতে করতে বলা হয়, তবে অনুমান করা যায় যে অধিকাংশ মানুষই বেছে নেবেন আখের রস বা ঠান্ডা পানীয়কে।
তবে ‘ইন্ডিয়ান কাউনসিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ’ (আইসিএমআর) ও ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউট্রিশনের (নিন) যৌথ ভাবে প্রকাশিত একটি নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে যে, আখের রসে শর্করার মাত্রা অতিরিক্ত বেশি থাকে। বেশি পরিমাণে তা খাওয়া হলে গুরুতর রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে।
নির্দেশিকায় বিশেষজ্ঞেরা বলছেন, এক জন প্রাপ্তবয়স্ক সারাদিন যে পরিমাণ খাবার খান, তাতে থাকা শর্করার মাত্রা মিলিয়ে যেন ৩০ গ্রামের বেশি না হয়। ৭ থেকে ১০ বছরের শিশুদের ক্ষেত্রে সেই মাত্রাটা হওয়া উচিত ২৪ গ্রাম মতো। অন্য দিকে, প্রতি ১০০ মিলিলিটার আখের রসে শর্করার মাত্রা (ফ্রুকটোজ় ও সুক্রোজ় মিলিয়ে) ১৩ থেকে ১৫ গ্রাম হয়, যা অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়া হলে রক্তে শর্করার মাত্রাও খুব বাড়িয়ে দিতে পারে। ঠান্ডা পানীয়তেও ভীষণ পরিমাণে চিনি, ‘আর্টিফিশিয়াল সুইটনার’ অর্থাৎ কৃত্রিম চিনি, কৃত্রিম স্বাদ, ভোজ্য অ্যাসিড থাকে। খুব বেশি মাত্রায় এই সব পানীয় খেলে নানা রকমের শারীরিক রোগ হতে পারে। যেমন, টাইপ ২ ডায়বেটিস, শরীরে জলের ঘাটতি, ওজন বৃদ্ধি-সহ আরও নানা অসুখ। অতিরিক্ত গরমের মধ্যে যখন এমনই শরীরে জলের ঘাটতি হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে, তখন অত্যধিক আখের রস খাওয়া তা বাড়িয়ে দিতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞ থেকে চিকিৎসকেরা।
আইসিএমআরের তরফে প্রকাশিত নির্দেশিকা থেকে বাদ নেই চা-কফি খাওয়া নিয়ে কিছু উপদেশও। বিশেষকেরা জানিয়েছেন, ১৫০ মিলিলিটার কফিতে থাকে ৮০ থেকে ১২০ মিলিগ্রাম ক্যাফেন। চা-এ থাকে ৩০ থেকে ৬৫ মিলিগ্রাম। দিনে যেহেতু ৩০০ মিলিগ্রামের বেশি ক্যাফেন শরীরে যাওয়া উচিত নয়, তাই অতিরিক্ত চা-কফি খাওয়াও স্বাস্থ্যের পক্ষে ভাল নয়।
তাঁদের পরামর্শ, এই সব কিছুর বদলে গোটা ফল বা চিনি ছাড়া ফলের রস খাওয়া যায় পরিমিত ভাবে। লেবুর শরবত, ডাবের জলও খাওয়া যায় অতিরিক্ত চা-কফি-আখের রস-ঠান্ডা পানীয়ের জায়গায়। সংবাদ সংস্থা
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy