স্ত্রীকে না নিয়েই গাড়ি নিয়ে চলে যান প্রৌঢ় স্বামী। ছবি: প্রতীকী
বর্ষশেষের দিনগুলি একসঙ্গে গ্রামের বাড়িতে কাটাবেন বলে স্ত্রীকে নিয়ে বেরিয়েছিলেন ৫৫ বছরের এক প্রৌঢ়। নিজেই চালাচ্ছিলেন গাড়ি। কিন্তু খুব একটা মধুর হল না সেই ভ্রমণ। কারণ, প্রৌঢ়ের ভুলো মন। যাওয়ার সময় প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে মাঝরাস্তায় গাড়ি থেকে নেমেছিলেন স্ত্রী। তাঁকে না নিয়েই গাড়ি নিয়ে চলে যান ওই প্রৌঢ়। স্বামীর ভুলোমনের চক্করে শেষ পর্যন্ত প্রায় ২০ কিলোমিটার হেঁটে ফিরতে হয় স্ত্রীকে। তাইল্যান্ডের ঘটনা। প্রৌঢ়ের নাম বুন্তন চাইমুন। তাঁর স্ত্রীর নাম আমনুয়ায় চাইমুন।
দম্পতির দেশের বাড়ি তাইল্যান্ডের সারাখাম প্রভিন্সে। রবিবার রাত ৩টের সময় গাড়ি নিয়ে রওনা দেন তাঁরা। মাঝরাস্তায় প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে গাড়ি দাঁড় করান বুন্তন। শৌচাগারের ব্যবস্থা না থাকায় পথের ধারে জঙ্গলের মধ্যে যেতে হয় তাঁকে। বুন্তন গাড়ি থেকে নামার পর তাঁর স্ত্রীও অনুসরণ করেন তাঁকে। জঙ্গলের মধ্যেই প্রাতঃকৃত্য সারতে যান তিনিও। কিন্তু ওই মহিলা ফিরে এসে দেখেন আগেই গাড়ি নিয়ে চলে গিয়েছেন স্বামী। জঙ্গলের মাঝে জনশূন্য রাস্তায় কী করবেন, ভেবে পাচ্ছিলেন না তিনি। অগত্যা রাস্তা বরাবরই হাঁটা শুরু করেন আমনুয়ায়। প্রায় ২০ কিলোমিটার হেঁটে সন্ধ্যায় কাবিন বুড়ি জেলার একটি থানায় পৌঁছন তিনি। সেখানে গোটা বিষয়টি খুলে বলেন।
কিন্তু এখানেই শেষ হয়নি টানাপড়েন। প্রশাসনের তরফে স্বামীর নম্বরে ফোন করে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও ফোন তোলেননি তিনি। সঙ্গে টাকাপয়সা না থাকায় আমনুয়ায় সিদ্ধান্ত নেন গায়ের অলঙ্কার বিক্রি করে বাড়ি ফিরবেন। তবে শেষ পর্যন্ত তার প্রয়োজন পড়েনি। কিছু সময় পর নিজেই ওই থানায় যোগাযোগ করেন স্বামী। ততক্ষণে প্রায় ১৬০ কিলোমিটার পেরিয়ে গিয়েছেন তিনি। স্ত্রী সেখানে আছেন জানতে পেরে তড়িঘড়ি গাড়ি ঘুরিয়ে ফিরিয়ে নিয়ে যান তাঁকে। এত কিছুর পর ক্লান্ত হলেও স্বামীর প্রতি বিরূপ নন আমনুয়ায়। সংবাদমাধ্যমে তিনি জানিয়েছেন, ২৭ বছরের দাম্পত্য জীবন তাঁদের, ২৬ বছর বয়সি এক পুত্রও আছে । স্বামীর ভুল ক্ষমা করে দিয়েছেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy