বিনামূল্যে ওয়াইফাই পরিষেবা নেওয়ার আগে সাবধান। ছবি: ফ্রিপিক।
রেল স্টেশন, বিমানবন্দর হোক কিংবা হোটেল— সুযোগ পেলেই বিনা পয়সার ওয়াইফাই-কে কাজে লাগানোর অভ্যাস আছে কি? এই ওয়াইফাই ব্যবহার করে হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুক করছেন, অথবা সিনেমা ডাউনলোডও করছেন। কিন্তু জানেন কি, নিখরচার ওয়াইফাই ব্যবহারের সময়ে যদি সচেতন না থাকেন, তা হলে বড় বিপদ হতে পারে।
রেলস্টেশনে বা বিমানবন্দরে বসে বিনামূল্যের ওয়াইফাই ব্যবহার করে আপনি কি অনলাইনে কেনাকাটা করেন? নিজের ক্রেডিট বা ডেবিট কার্ড নম্বর দিয়ে যদি জিনিসটির দাম মেটাতে যান, তা হলে কিন্তু সাবধান। নিখরচার ওয়াইফাই-এ সুরক্ষার ভিত কতটা মজবুত তা আপনি জানে না। তাই আপনার দেওয়া তথ্য ফাঁস হচ্ছে কি না তা-ও আপনার জানা নেই। এই ধরনের ওয়াইফাই-এ তথ্য ফাঁসের ঝুঁকি থাকে।
নামী রেস্তোরাঁ হোক বা কোনও হোটেলে গিয়ে সেখানকার ওয়াইফাই ব্যবহার করে ভুলেও নিজের ব্যাঙ্কিং অ্যাপে ঢুকবেন না। এতেও চুরি হয়ে যেতে পারে আপনার ব্যক্তিগত ও গোপন তথ্য।
নিখরচার ওয়াইফাই হ্যাক করার চেষ্টায় থাকে সাইবার অপরাধীরা। হয়তো এই ওয়াইফাই-কে কাজে লাগিয়ে কোনও ব্রাউজারে ঢুকলেন অথবা কোনও সফটওয়্যার ইনস্টল করলেন নিজের মোবাইল বা ডিভাইসে। তখন কিন্তু ম্যালওয়্যার বা স্পাইওয়্যার ঢুকে যেতে পারে আপনার ডিভাইসে। কোন ওয়েবসাইটকে অথবা সফটওয়্যারকে সাইবার অপরাধীরা ম্যালওয়্যার হিসেবে কাজে লাগাচ্ছে, তা আপনার জানা নেই। যদি প্রযুক্তিকে ভাল জ্ঞান থাকে তা হলে হয়তো ধরা সম্ভব। না হলে অজান্তেই বিপদ ঘনাবে। আর নিমেষের মধ্যে আপনার ফোনের কল লিস্ট, মেসেজ থেকে ব্যাঙ্ক ও অন্যান্য অ্যাপের যাবতীয় তথ্য হ্যাকারদের কাছে চলে যাবে। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, হ্যাকাররা কোনও বড় হোটেলের বা রেস্তোরাঁর নামে অথবা সরকারি কোনও সংস্থার নামে ওয়াইফাই-এর নাম রাখে। তাই না জেনেই যদি সেই ওয়াইফাই ব্যবহার করতে শুরু করেন, তা হলে আপনার সব ব্যক্তিগত তথ্যই অসুরক্ষিত হয়ে যাবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy