কৃত্রিম নয়, আসল গাছ দিয়েই অনেকে অ্যাকোয়ারিয়াম সাজাতে ভালবাসেন। নকল গাছে থেকে তা যেমন দেখতে অনেকটাই আলাদা হয়, তেমনই অ্যাকোয়ারিয়ামের পরিবেশকে প্রাকৃতিক পরিবেশের অনেকটা কাছাকাছি পৌঁছে দিতে পারে এই ধরনের গাছ। কিন্তু আসল গাছ রাখার সমস্যাও নেহাত কম নয়। একটু এ দিক থেকে ও দিক হলেই মরে যেতে পারে এই গাছ।
অ্যাকোয়ারিয়ামে আসল গাছ বাঁচাতে কী কী মনে রাখতে হবে, রইল সন্ধান।
- গাছ বাঁচানোর সবচেয়ে কঠিন সময় গ্রীষ্মকাল। কারণ জলের তাপমাত্রা ৩২ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডের উপরে উঠে গেলে নরম পাতার গাছ বাঁচানো কঠিন। তাই জল এমন গরম হওয়ার আশঙ্কা থাকলে অ্যামাজন সোর্ড গোত্রের মোটা এবং বড় পাতার গাছ লাগান।
- গাছের পাতা পচে জল দূষিত করে দিতে পারে। সে ক্ষেত্রে সাধের মাছ মরে যেতে পারে। তাই পাতা পচতে শুরু করলেই সেগুলো কেটে ফেলে দেওয়া উচিত।
- অ্যাকোয়ারিয়ামে গাছ লাগাতে হলে, তলার জমিটা কী দিয়ে বানাবেন, সেটাও ভেবে নেওয়া উচিত। সব গাছ বালি বা সাধারণ পাথরের উপর বাঁচতে পারে না। তাদের মাটিতে বসাতে হয়। অ্যাকোয়ারিয়ামের তলায় দেওয়ার জন্য বিশেষ ধরনের মাটি পাওয়া যায়। সেগুলি ব্যবহার করাই ভাল।
- মনে রাখবেন, মাছের যেমন খাবার লাগে, তেমনই গাছেরও। গাছের অ্যাকোয়ারিয়ামে ব্যবহারের জন্য নানা ধরনের তরল সার পাওয়া যায়। এগুলি মাছের জন্য নিরাপদ।
- খুব গুরুত্বপূর্ণ কথা, গাছ বাঁচিয়ে রাখার জন্য মাছ দরকার। কারণ আলো জ্বলা অবস্থায় গাছ জল থেকে কার্বোন ডাই অক্সাইড নিয়ে সালোকসংশ্লেষ করে। এই কার্বোন ডাই অক্সাইড আসে মাছের শ্বাসপ্রশ্বাস থেকেই। ফলে অ্যাকোয়ারিয়ামে মাছ কমে গেলে আলাদা করে তরল কার্বোন ডাই অক্সাইড দিতে হয় গাছ বাঁচাতে।