রাত জেগে খেলা দেখেও শরীরে ক্লান্তির ছাপ পড়তে দেবেন না। ছবি: সংগৃহীত।
ফুটবল নিয়ে বাঙালির আবেগ-উন্মাদনা বরাবরই বেশি। সে ডার্বি হোক কিংবা ইউরো। আর ইউরোর ফাইনাল ম্যাচ হলে তো কথাই নেই, নাওয়া-খাওয়া ছেড়ে টিভিতেই চোখ রাখবেন ফুটবলপ্রেমীরা। ইউরোর ফাইনালে প্রতিপক্ষ দুই দেশ— ইংল্যান্ড এবং স্পেন। ভারতীয় সময় রাত ১২.৩০টায় শুরু হবে খেলা। এমন টান টান ম্যাচের উত্তেজনায় যে চোখের পাতা এক করা অসম্ভব, ফুটবলপ্রেমী না হলেও তা বোঝা যায়। অনেকেই যে বিনিদ্র রাত কাটাবেন, সেটা বেশ বোঝা যাচ্ছে। কিন্তু রাত পোহালেই সোমবার। সপ্তাহের প্রথম দিন অফিসে গিয়ে যদি ঘুমে ঢুলে পড়েন, তা হলে মুশকিল। এমনিতে রাত জাগলে কাজে গতি পাওয়া যায় না। শরীরের চাঙ্গা ভাব চলে যায়। তবে খেলা দেখার ফাঁকে কিছু নিয়ম মানলে সমস্যা হবে না।
১) খেলা দেখার উত্তেজনায় মাঝেমাঝে কফির কাপে চুমুক দিতে ইচ্ছা করবে। কিন্তু এই ইচ্ছা দমন করতে হবে। ঘন ঘন কফি খেলে শরীর সাময়িক চাঙ্গা লাগলেও। আসলে ভিতর থেকে ক্লান্ত হয়ে পড়ে শরীর। পরের দিন শরীরের নিয়ন্ত্রণ হাতের বাইরে চলে যাবে। তাই কফির বদলে বারে বারে জল খান। শরীর ফিট থাকবে।
২) শুধু মুখে খেলা দেখার মজা নেই। তাই মাঝেমাঝে মুখ চালাতেই হয়। তবে মুখ চালানোর জন্য ভাজাভুজি বেছে না নেওয়াই শ্রেয়। রাত জেগে এ ধরনের খাবার খেলে পেটের গোলমাল হতে পারে। বদলে বাদাম, অ্যাভোকাডো, মুড়ি, ছোলার মতো খাবার খেতে পারেন।
৩) মাঝরাতে খেলা শুরু হবে। খেলা দেখতে বসার কয়েক ঘণ্টা আগেই রাতের খাবার খেয়ে নিন। বেশি রাতে ভারী খাবার খেলে আবার গ্যাস-অম্বলের সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাড়াতাড়ি খেয়ে নেওয়ার কারণে রাতে খিদে পেলে তখন হালকা কিছু খাবার খেতে পারেন।
৪) পছন্দের দল জিতবে কি না, তা নিয়ে টেনশনে বার বার ধূমপানের প্রবণতা তৈরি হতেই পারে। তবে সেই প্রবণতায় খানিক রাশ টানা জরুরি। রাত জেগে একের পর এক সিগারেট খেয়ে গেলে, পরের দিন শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে।
৫) সোমবার সকালে ঘুম থেকে উঠে কিছু ক্ষণ আলোর সংস্পর্শে থাকুন। তাতে রাত জাগার যে মানসিক ক্লান্তি, তা অনেকটাই কেটে যাবে। কিছু ক্ষণ গায়ে রোদ মাখলে বিরক্তি কেটে যাবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy