বিদ্যুতের খরচ কমবে সহজেই ছবি: সংগৃহীত
অন্য আর পাঁচটা জিনিসের দামের মতোই বিদ্যুতের বিলও প্রতিদিন বাড়ছে। কিন্তু সেই অনুপাতে আয় বাড়ছে না। তবে বিদ্যুতের খরচ কমানো সম্ভব। বাড়িতে বিদ্যুতচালিত বিভিন্ন যন্ত্রপাতি ব্যবহার করার সময়ে মাথায় রাখতে হবে কয়েকটি কথা। তা হলে খরচ অনেক কমে যাবে। এমনকি ৫০ শতাংশ পর্যন্ত কমে যেতে পারে খরচ।
বিদ্যুতচালিত যন্ত্র ব্যবহারের সময়ে কোন কোন বিষয় খেয়াল রাখবেন? দেখে নেওয়া যাক।
পাঁচ তারা যন্ত্র: বিদ্যুতচালিত নতুন কোনও যন্ত্র কেনার আগে দেখে নিন তার গায়ে ক’টি তারা চিহ্ন দেওয়া। পাঁচ তারা বা ‘ফাইভ স্টার’ যন্ত্র হলে তাতে বিদ্যুতের খরচ এক ধাক্কায় অনেকটা কমে যাবে। বিশেষ করে ফ্রিজ, এসি, টেলিভিশনের মতো যন্ত্র— যেগুলি অনেক ক্ষণ চলে, সেগুলি অবশ্যই পাঁচ তারা মার্কা কি না, তা দেখে কিনুন।
‘স্ট্যান্ডবাই’ নয়, সুইচ বন্ধ: রিমোটচালিত যন্ত্র দু’ভাবে বন্ধ করা যায়। রিমোট দিয়ে এবং বিদ্যুতের প্লাগ থেকে সুইচ বন্ধ করে। অনেকেই প্রথম পদ্ধতিতে যন্ত্র বন্ধ করে রেখে দেন। একে ‘স্ট্যান্ডবাই’ অবস্থা বলে। তাতে বিদ্যুতের ব্যবহার পুরোপুরি বন্ধ হয় না। বিদ্যুত খরচ কমাতে প্লাগের সুইচ বন্ধ করে দিন।
এলইডি আলো: চেষ্টা করুন বাড়িতে এলইডি আলো ব্যবহার করতে। পুরনো ফিলামেন্টের বাল্ব তো বটেই সিএফএল আলোতেও বিদ্যুতের খরচ তুলনায় বেশি।
ফ্রিজের সঠিক ব্যবহার: ফ্রিজে গরম খাবার রাখবেন না। দরজা বেশি ক্ষণ খুলে রাখবেন না। বরফের প্রয়োজন না হলে ‘ডিফ্রস্ট’ সুইচ বন্ধ রাখুন। সবচেয়ে বড় কথা, ঘরের এমন জায়গায় ফ্রিজ রাখুন, যেখানে রোদ আসে না।
এসির সঠিক ব্যবহার: পাঁচ তারা দেখে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণের যন্ত্র কিনুন। এ কথা আগেই বলা হয়েছে। এই যন্ত্র চালানোর সময়ে খুব বেশি ঠান্ডা করবেন না। তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রির উপরে রাখার চেষ্টা করুন। তামার কয়েল আছে কি না দেখেই এসি কিনুন। আর এসি চালানোর সময়ে চেষ্টা করুন ঘরের এমন কোনও যন্ত্র না চালাতে, যা থেকে অনেকটা উত্তাপ তৈরি হয়। যেমন ফ্রিজ বা ওটিজি।
ওয়াশিং মেশিনের সঠিক ব্যবহার: একসঙ্গে অনেকগুলি জামাকাপড় ওয়াশিং মেশিনে কাচুন। তাতে বিদ্যুতের খরচ কমবে।
মোবাইল চার্জার বন্ধ: আমরা অনেক সময়েই চার্জার থেকে মোবাইল ফোনটি খুলে নেওয়ার পরেও প্লাগের সুইচ বন্ধ করি না। তাতে স্বল্প মাত্রায় হলেও বিদ্যুতের অপচয় হতে থাকে। এর থেকে বিরত থাকুন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy