প্রতারণা থেকে রক্ষা পাবেন কী ভাবে ছবি: সংগৃহীত
প্রযুক্তির দৌলতে এখন অনেক সহজ হয়ে গিয়েছে টাকা লেনদেন। ইন্টারনেটের মাধ্যমে মুহূর্তের মধ্যে দেওয়া-নেওয়া করা যায় বিপুল পরিমাণ অর্থ। কিন্তু বৈদ্যুতিন লেনদেন বৃদ্ধির সঙ্গে বৃদ্ধি পেয়েছে প্রযুক্তির অপব্যবহারও। সম্প্রতি নতুন এক ধরনের প্রতারণার হদিশ মিলল কলকাতায়। ‘ফিক্সড ডিপোজিট’ জমা করতে গিয়ে চার লাখ টাকা খোয়ালেন কসবার এক ব্যক্তি। সাইবার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যে পদ্ধতিতে হাতানো হয়েছে টাকা, তাকে বলা হয় ‘বিল ডেস্ক’ প্রতারণা। কিন্তু কী এই জাল, বাঁচারই বা উপায় কী?
এ ধরনের প্রতারণার ক্ষেত্রে প্রতারকরা সাধারণত একটি ভুয়ো ওয়েবসাইট তৈরি করে। সাধারণত এই ওয়েবসাইটগুলি অবিকল কোনও প্রতিষ্ঠিত ব্যাঙ্ক অথবা জীবন বিমা সংস্থার মতো দেখতে হয়। কিন্তু এই ওয়েবসাইটের সঙ্গে ব্যাঙ্কের প্রকৃত ওয়েবসাইটের আদৌ কোনও সম্পর্ক থাকে না। এর পর ওই নকল ওয়েবসাইটে জুড়ে দেওয়া হয় ফিক্সড ডিপোজিট কিংবা মিউচ্যুয়াল ফান্ডে টাকা জমা করার মতো একাধিক লিঙ্ক। এই লিঙ্কগুলিও ভুয়ো। এই ধরনের লিঙ্কের মাধ্যমে বিনিয়োগ করতে গেলেই প্রতারকদের খপ্পরে পড়েন গ্রাহক।
রক্ষা পাবেন কী ভাবে?
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আর্থিক লেনদেনের জন্য যখন কোনও ব্যক্তি ওয়েবসাইটে ঢুকছেন, তখন সেই ওয়েবসাইটের মূল ঠিকানা বা ‘ইউআরএল’ ভাল করে মিলিয়ে দেখতে হবে ব্যাঙ্কের আসল ঠিকানার সঙ্গে। দেখে নিতে হবে, ঠিকানার শুরুতে ‘এইচটিটিপিএস’ লেখা আছে কি না। অনেক সময়ে ইউআরএলে প্রতারকরা এত ছোট্ট বদল ঘটায় যে, এক পলকে তা চোখে পড়া কঠিন। পাশাপাশি, সব শেষে যখন টাকা পাঠানোর ‘ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড’ বা ‘ওটিপি’ আসবে, তখন ভাল করে খেয়াল করতে হবে কোন ঠিকানা থেকে আসছে সেই ওটিপি। বিন্দুমাত্র সন্দেহ হলে বিরত থাকতে হবে অর্থনৈতিক লেনদেন থেকে। সংশয় হলে কথা বলতে পারেন নিকটবর্তী থানার সাইবার বিশেষজ্ঞদের সঙ্গেও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy