বাড়িতে অতিথি আসবেন। ভালমন্দ রাঁধতেই হবে। কিন্তু রান্না হবে কী, তা নিয়ে চিন্তা? চেনা খাবারও রেঁধে ফেলতে পারেন অন্য ভাবে, অন্য কায়দায়, অন্য উপকরণে।
পরোটা হোক বা রুটি, ভাতের পাতে ধোঁকা খাওয়ার চল রয়েছে। ডাল দিয়ে তৈরি পদটি খেতেও বেশ সুস্বাদু। তবে সে তো সকলেই খেয়েছেন। অতিথিকে চমক দিতে চাইলে বরং মিষ্টি কুমড়ো দিয়েই বানিয়ে ফেলুন ধোঁকা। দেখে বোঝার উপায় থাকবে না। ‘ধোঁকা’ খেয়ে যাবেন অতিথি নিজেই।
উপকরণ:
এক কাপ ছোলার ডাল
২-৩ টুকরো (মাঝারি) মিষ্টি কুমড়ো
আধ ইঞ্চি আদা
৩-৪টি কাঁচালঙ্কা
১ চা-চামচ কালোজিরে
স্বাদমতো নুন, চিনি
আধ চা-চামচ ধনেগুঁড়ো
একটা ছোট টম্যাটো বাটা
১ চা-চামচ হলুদগুঁড়ো
১ চা-চামচ কাশ্মীরি লঙ্কার গুঁড়ো
১ চা-চামচ জিরে বাটা
১ চা-চামচ আদা, কাঁচালঙ্কা বাটা
পরিমাণমতো সর্ষের তেল
আরও পড়ুন:
প্রণালী:
ছোলার ডাল কয়েক ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখুন। অতিরিক্ত জল ফেলে আদা এবং কাঁচালঙ্কা দিয়ে মিক্সারে ঘুরিয়ে নিন।
পাকা কুমড়ো মিহি করে কুচিয়ে নিন। কড়াইয়ে সর্ষের তেল গরম হলে কালোজিরে ফোড়ন দিয়ে কুমড়ো হালকা নাড়াচাড়া করে নিন। যোগ করুন ডালবাটা। স্বাদমতো নুন, চিনি দিয়ে সমগ্র মিশ্রণটি রান্না করুন। খেয়াল রাখবেন, ডালের মিশ্রণ যেন কড়াইয়ে লেগে পুড়ে না যায়। দিয়ে দিন সামান্য ধনেগুঁড়ো। সব মিশ্রণ মাখো মাখো হয়ে গেলে আঁচ কমিয়ে ঠান্ডা হতে দিন। একটি থালায় তেল মাখিয়ে মিশ্রণটি মোটা করে ছড়িয়ে দিন। তার পর ছুরির সাহায্যে ধোঁকার আকারে চৌকো করে কেটে নিন। তেলে সেগুলি উল্টেপাল্টে ভেজে নিলেই ধোঁকা তৈরি হয়ে যাবে।
ঝোলের জন্য কড়াইয়ে তেল গরম হতে দিন। দিয়ে দিন গোটা জিরে, তেজপাতা এবং গরমমশলা ফোড়ন। যোগ করুন আদা-কাঁচালঙ্কা বাটা এবং টম্যাটো বাটা। মিশ্রণটি ভাল করে নাড়াচাড়া করে নুন, চিনি, হলুদ, লঙ্কার গুঁড়ো যোগ করুন। দিয়ে দিন কিছুটা গরম জল। সব উপকরণ ফুটে গেলে ধোঁকা ছেড়ে দিন। ধোঁকা যে হেতু জল টেনে নেয়, তাই ঝোল একটু বেশি রাখাই ভাল। ঝোল ফুটিয়ে নামিয়ে নিন।