প্রতীকী ছবি। ছবি: সংগৃহীত
সব সময়ে নিয়ম মেনে খাওয়াদাওয়া করা সম্ভব নয়। আবার অনেকে চেষ্টা করেও প্রত্যেক দিন শরীরচর্চা করার সময় বার করে উঠতে পারেন না। তা হলে কী করে ওজন কমানো যায়? কয়েকটি বিজ্ঞানসম্মত উপায় জেনে নিন।
১। ধীরে খান
ধীরে ধীরে অল্প পরিমাণে খান। ভাল করে চিবিয়ে নিয়ে তবেই খাবার গিলবেন। আমাদের মস্তিষ্ক শরীরকে ইঙ্গিত পাঠায় কখন খিদে মিটছে। কিন্তু তা করতে একটু সময় লাগে। তাই ধীরে ধীরে খান। কত তাড়াতাড়ি আপনি খাবার শেষ করছেন, তার উপর নির্ভর করে আপনার ওজন।
২। ছোট প্লেট নিন
যখনই তেলেভাজা বা ফ্রেঞ্চ ফ্রাইজের মতো অস্বাস্থ্যকর খাবার খাচ্ছেন, ছোট প্লেট নিন। বড় প্লেটে অল্প নিলে মনে হবে, আরও খাবার নেওয়া প্রয়োজন। তাতে বেশি খাওয়ার প্রবণতা তৈরি হয়।
৩। প্রোটিন বেশি খান
সকালে মাখন পাঁউরুটি বা দুধ-সিরিয়াল খাচ্ছেন? তার বদলে ডিম সিদ্ধ খান দুটো করে। এই ভাবেই প্রোটিনের পরিমাণ বাড়ান সহজ উপায়। তাতে খিদে কম পায় এবং খাওয়ার পর আগামী বেশ কিছু ঘণ্টা শরীরে ক্যালোরি কম যায়।
৪। অস্বাস্থ্যকর খাবার দূরে রাখুন
চানাচুর, মিষ্টি, চিপ্স বা চকোলেট চোখের আড়ালে রাখুন। রান্নাঘরের তাকের পিছনে দিকে তুলে রাখতে পারেন। তার বদলে ড্রাই ফ্রুট বা বাদাম জাতীয় স্বাস্থ্যকর খাবার সামনের দিকে রাখুন। যাতে খিদে পেলে এগুলি খেতে পারেন।
৫। ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খান
গবেষণা বলছে ভিসকস ফাইবার বেশি খেলে ওজন কমার সম্ভাবনা বাড়ে। এই ধরনের ফাইবার ফ্ল্যাক্সসিড, ওটস, কমলালেবু, বিনের মতো খাবারে পাবেন। তাই রোজকার খাদ্যতালিকায় এগুলি রাখতে পারেন।
৬। খাওয়ার আগে জল খান
নিয়ম মেনে জল খেলে খিদে কম পাবে এবং হজমের সমস্যাও মিটবে। তাতে ওজন কমার সুযোগ থাকবে বেশি। বিশেষ করে দুপুর বা রাতের খাবার খাওয়ার আগে জল খেতে পারেন। তাতে বেশি খেয়ে ফেলার প্রবণতা কমবে।
৭। পানীয় নিয়ে সাবধান
ফলের রস খাবেন বলে প্যাকেট কিনে আনেন দোকান থেকে? এই কৃত্তিম ভাবে তৈরি ফলের রসে যে পরিমাণ চিনি থাকে, তাতে ওজন ঝট করে বেড়ে যেতে পারে। প্যাকেটের লস্যি, ফ্লেভার দেওয়া দুধ, সোডা, ঠান্ডা পানীয় জাতীয় খাবার একদম বাদ দিয়ে দিন। তার বদলে চা, কফি বা গ্রিন টি খান চিনি ছাড়া। খুব অসুবিধা হলে মধু মেশাতে পারেন।
৮। মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ
কম ঘুম এবং মানসিক চাপ বেশি থাকলে ওজন বাড়বেই। তাই রোজ এক সময়ে ঘুমোতে যান। ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুমনোর চেষ্টা করুন। কোনও বিশেষ কারণে মানসিক চাপ থাকলে সেগুলির সমাধান করার চেষ্টা করুন। কী করলে চাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে সেগুলি খুঁজে বার করুন। যেমন যোগাভ্যাস বা ডায়েরি লেখা বা বাগান করা।
৯। মন দিয়ে খাবার খান
এখন বেশির ভাগ মানুষই খাবার খান ল্যাপটপে কাজ করতে করতে বা মুঠোফোনে কোনও কিছু দেখতে দেখতে। খাবারের দিকে মনোযোগ থাকে না খুব একটা। এতে মস্তিষ্কও দেরিতে বার্তা পাঠায় কখন পেট ভরে গিয়েছে। তাতেই বেড়ে যায় বেশি খাবার খেয়ে ফেলার প্রবণতা।
১০। অল্প পরিমাণ খাবার নিন
প্রত্যেকটি পদই যদি সামান্য কম পরিমাণে খান, তা হলেও অনেকটি ক্যালোরি কম যাবে শরীরে। ধরুন ভাত সামান্য কম খেলেন, বা বাটার চিকেনের গ্রেভিটা কম নিলেন, চাটনি যতটা খান তার চেয়ে অল্প পরিমাণে নিলেন— এই ধরনের অভ্যাসগুলি যদি তৈরি করতে পারেন, তা হলে ওজন কমবেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy