মোবাইলের প্রতি খুদের আসক্তি কাটাবেন কী করে? ছবি: শাটারস্টক
খাওয়ার সময় শিশুদের বায়নার শেষ নেই! মোবাইল কিংবা টিভি ছাড়া এক গ্রাস ভাতও মুখে তুলতে চায় না অনেকেই। খাওয়ার সময় টিভি কিংবা মোবাইলে চালানো কার্টুনটার প্রতি মনোযোগ অনেক বেশি। ফলে খাবার শেষ করতে লেগে যায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা সময়।
ব্যস্ততার মাঝে অনেক মা-বাবাই শিশুর সামনে মোবাইল চালিয়ে নিজেদের টুকিটাকি কাজ সেরে ফেলেন। আর এ ভাবেই মোবাইল কিংবা টিভির নেশায় বুঁদ হয়ে পড়ে ছোটরা। মনে রাখবেন, এই নেশা দূর করতে ভবিষ্যতে আপনার কিন্তু কালঘাম ছুটতে পারে।
টিভি নেশায় শিশুরা কখনও অনেক বেশি খেয়ে ফেলে কখনও আবার এতটাই ধীরে ধীরে খায় যে, পাতে খাবার পড়ে পড়ে ঠান্ডা হয়ে যায়। আর খাওয়ার ইচ্ছে থাকে না। ফলে অপুষ্টি হতে পারে। অনেক ক্ষেত্রে টিভির দিকে মনোযোগের কারণে শিশুরা ঠিক করে খাবার না চিবিয়েই গিলে ফেলে। এই কারণে খাদ্যের সঠিক পুষ্টিগুণ শিশুদের শরীরে যায় না। পেটের সমস্যাও হতে পারে।
১) অনেক বাড়িতেই অভিভাবকরা নিজেরেই টিভির সামনে বসে খাওয়াদাওয়া করেন। শিশুরা তাদের অভিবাবকদেরই অনুসরণ করে। তাই প্রথমে নিজের মধ্যে বদল আনুন।
২) সোফায় কিংবা বারান্দা নয়, খাওয়ার টেবিলে বসিয়ে শিশুদের খাওয়ানোর অভ্যাস করান। প্রয়োজনে গল্প শুনিয়ে খাওয়াতে পারেন।
৩) খাওয়ার সময়ে শিশু যেন টিভির কাছে না আসে, সে দিকে নজর রাখুন। প্রয়োজনে ওকে বলুন খাওয়াদাওয়া শেষ করে নিলেই আপনি টিভি চালাবেন তবে একটা নির্দিষ্ট সময়ের জন্য। সেই তাগিদেই শিশুরা চটজলদি খাবার শেষ করবে।
৪)খাবার শেষ করার একটা নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দিন। আপনিও এক টেবিলে সন্তানের সঙ্গে বসে খাবার খান। নির্দিষ্ট সময় খাবার শেষ করে উঠে পড়ুন। তবেই শিশুর মধ্যেও সময় মেপে খাওয়ার তাগিদ বাড়বে।
৫) খাওয়ার সময় শিশুদের টিভি চালিয়ে রাখার পরিবর্তে ওদের ছড়াগান শোনান। মজাদার গল্প শোনান। বাচ্চাদের মন সে দিকে সহজেই মগ্ন থাকবে।
সারা দিনে টিভি দেখার সময় বেঁধে দিন। বাকিটা সময় আঁকা, গল্পের বই পড়ার দিকে জোড় দিন। এই ভাবে টিভি বা মোবাইলের প্রতি আসক্তি কমবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy