সংস্কৃতে ‘চতুঃ’ শব্দের অর্থ হল চার। চতুরঙ্গ দণ্ডাসন হল চার অঙ্গের আসন। ঠিক মতো করতে পারলে, এই আসন শরীরের পেশির গঠনের জন্য কার্যকর হতে পারে। হাত-পা-কাঁধ তো বটেই পেট, নিতম্ব ও পায়ের পেশিরও ব্যায়াম হয় যোগাসনের এই বিশেষ পদ্ধতিতে।
কেন করবেন চতুরঙ্গ দণ্ডাসন?
পেট থেকে উরুর উপরের অংশ পর্যন্ত পেশিগুলিকে ‘কোর মাসল’ বলে। শরীরের এই অংশটির সঙ্গে মেরুদণ্ডের যোগ থাকে। তাই শরীরের ঊর্ধ্বাংশের সঙ্গে নিম্নাংশের ভারসাম্য বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এই পেশিগুলি। এই পেশিগুলিকেই শক্তিশালী করতে কার্যকর হতে পারে চতুরঙ্গ দণ্ডাসন। পাশাপাশি, তলপেট ও ঊরুর মেদ ঝরাতেও খুবই উপকারী এই যোগাসন। সঠিক ভাবে করতে পারলে সারা শরীরেরই ব্যায়াম হবে।
আরও পড়ুন:
কী ভাবে করবেন?
১) ম্যাটের উপরে উপুড় হয়ে শুয়ে দু’টি কনুইয়ের উপরে ভর দিয়ে ধীরে ধীরে শরীরটি তুলতে হবে।
২) পায়ের ভর থাকবে বুড়ো আঙুলের উপরে। শরীর থাকবে টানটান।
৩) দুই কনুই শরীরের পাশে ৯০ ডিগ্রি কোণে রাখুন, হাতের তালুগুলি মেঝে স্পর্শ করে থাকবে।
৪) এর পর শরীর ধীরে ধীরে নামাতে হবে, যাতে বুক মেঝে স্পর্শ করে।
৫) তার পর শরীর আবার আগের অবস্থানে ফিরিয়ে আনতে হবে। অনেকটা পুশ আপের মতো করতে হবে। গোটা প্রক্রিয়ার সময়ে শ্বাসপ্রশ্বাস স্বাভাবিক থাকবে।
উপকারিতা
পা, নিতম্বের পেশি মজবুত রাখার পাশাপাশি হজমশক্তি উন্নত করতে সাহায্য করে এই আসন। হ্যামস্ট্রিং, গোড়ালি, হাঁটুতে টান পড়লেও আরাম লাগে। পায়ের পাতার ব্যথা নিরাময় হয়। তলপেটের পেশিও মজবুত হয়। একাগ্রতা বাড়িয়ে তুলতেও সাহায্য করে এই আসন। পিঠ, কোমরের ব্যথা প্রশমনেও সাহায্য করে চতুরঙ্গ দণ্ডাসন।