কবাবের নাম শুনলে মানসপটে মুরগি কিংবা খাসির ছবিই ভেসে ওঠে। কিন্তু ইফতার উপলক্ষে বাড়িতে যাঁদের নিমন্ত্রণ করেছেন, তাঁদের কেউই মাংস খেতে পছন্দ করেন না। আচ্ছা, মাছ দিয়েও তো কবাব বানানো যায়। ভেটকি কিংবা বাসা নয়, সাধারণ রুই, কাতলা দিয়েই বানিয়ে ফেলুন টক-ঝাল-মিষ্টি স্বাদের মুখরোচক কবাব। রইল রেসিপি।
আরও পড়ুন:
উপকরণ:
৬ টুকরো কাতলা মাছ
২টি ডিমের কুসুম
৩ টেবিল চামচ পেঁয়াজ বাটা
আধ টেবিল চামচ আদাবাটা
দেড় চা-চামচ কাঁচালঙ্কা বাটা
আধ কাপ বেসন
২ টেবিল চামচ টক দই
১ চা-চামচ ধনেগুঁড়ো
১ চা-চামচ মৌরিগুঁড়ো
১ চিমটে কেশর
১ চা-চামচ গরমমশলা গুঁড়ো
স্বাদ অনুযায়ী নুন
২ টেবিল চামচ চিনি
২ টেবিল চামচ লেবুর রস
৩ টেবিল চামচ ঘি
আরও পড়ুন:
প্রণালী:
১) প্রথমে কড়াইয়ে জল আর সামান্য নুন দিয়ে মাছের টুকরোগুলি সেদ্ধ করে নিন।
২) স্বাভাবিক তাপমাত্রায় এলে সেদ্ধ মাছ থেকে কাঁটা বেছে নিন। চাইলে ছালও বাদ দিতে পারেন।
৩) এ বার পেঁয়াজবাটা, আটাবাটা, কাঁচালঙ্কা বাটা, ধনেগুঁড়ো, মৌরিগুঁড়ো, গরমমশলা গুঁড়ো, টক দই, বেসন, ঘি, নুন এবং লেবুর রস দিয়ে সেদ্ধ মাছটা ভাল করে চটকে মেখে নিন।
৪) মাখতে মাখতে যদি মনে হয় মণ্ড খুব পাতলা হয়ে গিয়েছে, তা হলে প্রয়োজন বুঝে বেসন মিশিয়ে নিতে পারেন।
৫) এ বার তক্তি বানাতে হবে। তার জন্য মাইক্রোঅয়েভ প্রুফ পাত্রে সামান্য ঘি মাখিয়ে নিন। তার মধ্যে মেখে রাখা মাছের মণ্ড ঢেলে নিন। হাত দিয়ে সমান ভাবে পাত্রের মধ্যে মিশ্রণ ছড়িয়ে দিন। কিছু ক্ষণ ওই ভাবে ফ্রিজে রেখে দিন।
৬) এ বার অন্য একটি কড়াইয়ে অল্প জল, চিনি এবং সামান্য ঘি দিয়ে তৈরি করে রাখুন সিরা। চিনি গলে গেলে নামানোর আগে কেশর দিয়ে দিন। হলদেটে রং এলেই গ্যাস বন্ধ করে ফেলুন। সিরা কিন্তু খুব পাতলা হবে না।
৭) ফ্রিজ থেকে মাছের মিশ্রণ বার করে নিন। ছুরির সাহায্যে তক্তির মতো, অর্থাৎ চৌকো করে কেটে নিন। দেখতে অনেকটা ধোঁকার মতো হবে।
৮) ঝাঁঝরি করা স্টিলের পাত্রে সামান্য একটু ঘি মাখিয়ে নিন। তার উপর এক এক করে মাছের তক্তিগুলি সাজিয়ে রাখুন।
৯) কড়াইয়ে জল ফুটতে দিন। তার উপর বসিয়ে দিন ওই পাত্রটি। মাছের তক্তি জলের ভাপে সেদ্ধ হবে। উপর থেকে ঢাকা দিয়ে রাখলে আরও ভাল হয়।
১০) এ বার সেদ্ধ করা কবাব ভেজে নেওয়ার পালা। তার জন্য কড়াইয়ে ঘি গরম করে নিন। এক এক করে ভেজে নিয়ে চিনির ঘন সিরায় এ পিঠ-ও পিঠ করে নিলেই কাজ শেষ। ঠান্ডা, গরম যে কোনও পানীয়ের সঙ্গে সান্ধ্য আড্ডা একেবারে জমে যাবে।