Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪
diabetes

চিনিই সর্বনাশ ডাকছে চোখের, কী ভাবে সামলাবেন?

গ্লাইকেটেড হিমোগ্লোবিন বা এইচবিএ১সি সাত–এর নীচে রাখতে পারলে খুব ভাল৷

চিনির জেরে চোখের নার্ভ বা রেটিনা খারাপ হয়ে দৃষ্টিশক্তি খারাপ হতে শুরু করে। ছবি: শাটারস্টক।

চিনির জেরে চোখের নার্ভ বা রেটিনা খারাপ হয়ে দৃষ্টিশক্তি খারাপ হতে শুরু করে। ছবি: শাটারস্টক।

সুজাতা মুখোপাধ্যায়
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ১৩:০০
Share: Save:

খাবার চিনি নয়, কথা হচ্ছে রক্তের চিনিকে নিয়ে৷ যে ভাবে ডায়াবিটিসের প্রকোপ বাড়ছে ক্রমশ, তাতে রক্তে চিনির বাড়বাড়ন্ত নিয়ে ভাবার সময় হয়েছে বইকি! আমেরিকান ডায়াবিটিস অ্যাসোসিয়েশনের মতে, এই রক্তে চিনিই ধ্বংস করছে চোখের আরাম। এবং তা অজান্তেই।

চিকিৎসক অভিজিৎ কুণ্ডুর মতে, ‘‘তলে তলে শরীরের সর্বনাশ ডেকে আনছে রক্তে শর্করা। শরীরের সব প্রত্যঙ্গের পাশাপাশি চোখেরও৷ কেউ কেউ অবশ্য টাইপ ২ ডায়াবিটিস, অর্থাৎ পরিণত বয়সে যে ডায়াবিটিস হয়, তা নিয়ে ১৭–১৮ বছর কাটানোর পরও তেমন কোনও জটিলতায় ভোগেন না। জিনের কারণেই তাঁদের চোখ, কিডনি মোটামুটি ঠিকঠাক থাকে৷ বাকিদের ক্ষেত্রে মোটামুটি বছর পাঁচেক পর চোখের নার্ভ বা রেটিনা খারাপ হয়ে দৃষ্টিশক্তি খারাপ হতে শুরু করে, যাকে বলে ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথি৷ ইনসুলিন নির্ভর হলে সে আশঙ্কা আরও বাড়ে৷ টাইপ ১ ডায়াবিটিসে (বাচ্চাদের যে ডায়াবিটিস হয়) ভুগলে, ১৫ বছর বয়সের মধ্যে ৯৮ শতাংশ বাচ্চা এতে ভুগতে শুরু করে৷’’

সুগার বশে থাকলে রোগ ঠেকিয়ে রাখা যায় বহু দিন৷ তার জটিলতাও কম থাকে৷ গ্লাইকেটেড হিমোগ্লোবিন বা এইচবিএ১সি সাত–এর নীচে রাখতে পারলে খুব ভাল৷ সাত-আটের মধ্যে থাকলে এতটা সুবিধা কিন্তু নেই৷ আট-নয় হলে তো চোখের অবস্থা তাড়াতাড়ি জটিল হয়৷ নয়ের বেশি হলে তো কথাই নেই! সঙ্গে হাইপ্রেশার, হাই কোলেস্টেরল–ট্রাইগ্লিসারাইড থাকলে বিপদ বাড়ে৷

আরও পড়ুন: ঘন ঘন অ্যান্টিবায়োটিক খান? ‘সুপারবাগস’ বিপদ ডাকছে অজান্তেই

কথায় কথায় স্ট্রেচিং করেন? বিপদ ডাকছেন অজান্তেই

ডায়াবেটিক মহিলারা অন্তঃসত্ত্বা হলে রেটিনোপ্যাথি হওয়ার আশঙ্কা বাড়ে৷ আবার তাঁর যদি আগে থেকেই রোগ থেকে থাকে, তা হলে ওই সময় বাড়ে তার প্রকোপ৷ ওবেসিটি থাকলেও বিরাট ঝামেলা৷

রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসা

টাইপ ১ ডায়াবিটিস হওয়ার ৫ বছর পর থেকে প্রতি বছর চোখের রেটিনা, কিডনি ও নার্ভ পরীক্ষা করে দেখতে হয়৷ টাইপ ২ হলে শুরু থেকেই প্রতি বছর পরীক্ষা করার নিয়ম৷ রেটিনায় গোলমাল হলে ডাক্তার লেসার দিয়ে চিকিৎসা করেন সচরাচর৷ কখনও কিছু ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়৷ এতে রোগ খুব ভাল ভাবে আয়ত্তে থাকে৷ ডায়াবিটিস, হাইপ্রেশার, হাই কোলেস্টেরল ও মেদবাহুল্যকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারলে এ নিয়ে আর চিন্তার তেমন কিছু থাকে না৷ তাই নিয়ম মেনে চলার পাশাপাশি, ওষুধ পথ্য ও নিয়মিত পরীক্ষায় নিজেকে সুস্থ রাখুন।

অন্য বিষয়গুলি:

Diabetes Eye Problems Fitness Tips Health tips
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE