Advertisement
০৪ নভেম্বর ২০২৪
LIfe Style news

কোভিডের সঙ্গে দোসর আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনা, সুস্থ থাকতে মেনে চলুন এগুলো

এখনকার পরিস্থিতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলেও সুস্থ থাকতে গেলে কী কী মেনে চলতে হবে, জানালেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক সুবর্ণ গোস্বামী।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ২০ নভেম্বর ২০২০ ১৭:২৮
Share: Save:

নভেম্বরের শেষ দিক মানেই গরমের শেষ আর শীতের শুরু। বাতাসে হিমের ছোঁয়াচ আর আবহাওয়া শুষ্ক হতে শুরু করা। আবার কখনও গুমোট গরম। পরিস্থিতি অনেকটা এ রকম যে, মোটা পোশাক গায়ে চাপিয়ে রাখলে ঘাম হচ্ছে আবার ফ্যান চালালে ঠান্ডা ঠান্ডা লাগছে। এই পরিস্থিতিতে ভাইরাল ফিভার বা সর্দি-কাশির প্রকোপ খুবই সাধারণ ব্যাপার।

এরই মধ্যে আবার মাথার উপর কোভিড -এর খাঁড়া ঝুলছে। সাধারণ জ্বর, সর্দি, কাশি হলেও ভয় পেয়ে যাচ্ছেন মানুষ। ছুটতে হচ্ছে চিকিৎসকের কাছে। এমন পরিস্থিতিতে এই সময়ে অন্যান্য বছরের তুলনায় আরও বেশি করে সাবধান থাকা জরুরি। বিশেষ করে শিশু এবং বয়স্কদের প্রতি আরও যত্নশীল হওয়ার প্রয়োজন। কিছু বিষয় মাথায় রাখলেই এই সময় অসুখ থেকে দূরে থাকা সম্ভব। এখনকার পরিস্থিতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলেও সুস্থ থাকতে গেলে কী কী মেনে চলতে হবে, জানালেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক সুবর্ণ গোস্বামী।

তিনি জানালেন, কোভিড নিয়ে ইতিমধ্যেই মানুষের মধ্যে অনেক গা-ছাড়া ভাব জন্মেছে। ন্যূনতম নিয়মবিধি মেনে চলছেন না বেশির ভাগ মানুষই। তার উপরে শীত পড়ছে। শীত পড়ার সঙ্গে সঙ্গে দিল্লিতে কোভিড সংক্রমণের সেকেন্ড ওয়েভ শুরু হয়ে গিয়েছে। এ রাজ্যেও কোভিডের সেকেন্ড ওয়েভ আসার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই কোনও ভাবেই গা ছাড়া ভাব নিয়ে চললে চলবে না। কোভিডের জন্য যা যা করণীয়, সবটাই মেনে চলতে হবে। তার সঙ্গে দোসর ভাইরাল ফ্লু যা এই সময়ে ভীষণ ভাবেই মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে, সে সম্পর্কেও সাবধান থাকতে হবে।

আরও পড়ুন: ধূমপান ছেড়ে সিওপিডিকে জীবন থেকে তাড়ান

তিনি জানান, চিকেন পক্স, মিসলস এবং হাঁপানির সমস্যাও খুব বেশি দেখা যায় এ সময়। তাই কোনও ভাবেই যাতে ঠান্ডা না লাগে, সেটা সবার আগে মাথায় রাখা উচিত। যদি কারও মর্নিং ওয়াকের অভ্যাস থাকে, তা হলে অবশ্যই কান-মাথা ঢেকে রাখতে হবে। বাইরে থেকে ঘেমে এসেই ঠান্ডা জল খাবেন না বা স্নান করবেন না। বরং জল ঈষৎ গরম করে তা খাওয়া উচিত। একই ভাবে গরম জলে স্নান করুন।

তাঁর মতে, এ সময়ে সবচেয়ে বেশি নজর দেওয়া উচিত শিশু এবং বয়স্কদের উপর। কারণ তাঁদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তুলনামূলক ভাবে কম। তাই খুব সহজেই তাঁদের ঠান্ডা লেগে যায়।

আরও পড়ুন: শিশুকে কি বোতলে দুধ খাওয়ান? অজান্তেই এই সব বিপদ ডেকে আনছেন কিন্তু

তিনি আরও জানান, এ সময়ে এসি না চালানোই ভাল। আর রাতের দিকে ঘরের জানলা বন্ধ রাখুন, যাতে বাইরের হাওয়া কোনও ভাবেই ঘরে ঢুকতে না পারে। ভোরের দিকে হালকা ঠান্ডা পড়ছে। এ সময়ে হালকা চাদর গায়ে দিন।

শিশুদের খুব বেশি মোটা জামা পরাবেন না। তাতে গরম লাগবে আর গরমে ঘাম গায়ে বসে গেলে ঠান্ডা লাগার সম্ভাবনা আরও বেশি থাকে। রাতের দিকে শিশুদের বাইরে বার করলে কান এবং মাথা ঢেকে রাখতে হবে।

অন্য বিষয়গুলি:

Coronavirus COVID 19 Disease
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE