মুম্বইয়ের বিখ্যাত স্ট্রিট ফুড পাওভাজি বহু দিনই কলকাতার পথেঘাটেও জায়গা করে নিয়েছে। এমনকি, বহু বাড়ির হেঁশেলেও এখন এটি রান্না হয়। পাউরুটির সঙ্গে বিশেষ পদ্ধতিতে তৈরি ভাজি দিয়ে এটি খাওয়া হয়। গরম ভাজির সঙ্গে মাখন দিয়ে সেঁকে নেওয়া বিশেষ ধরনের ‘পাও’-এর স্বাদে মজে রয়েছেন অনেক বাঙালিই।
এমনিতে ‘ভাজি’ তৈরি হয় রকমারি সব্জি দিয়ে। তবে যদি স্বাস্থ্যের কথাও মাথায় রাখতে চান, তা হলে এতে জুড়ে নিতে পারেন বাড়তি প্রোটিন।
১। সয়াবিন গরম জলে ভিজিয়ে মিক্সারে ঘুরিয়ে নিন। সয়াবিনে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন থাকে। পাওভাজিতে যে তরকারিটি খাওয়া হয়, সেটিতে বিভিন্ন রকম সব্জি দেওয়া থাকে। সব্জিটি রান্নার সময় সয়াবিন মিশিয়ে নিন।
২। যোগ করতে পারেন টোফু অথবা পনির। পাওভাজির সব্জি রান্নার সময়েই পনির বা টোফুর ছোট ছোট টুকরো তাতে মিশিয়ে দিতে পারেন।
৩। সমস্ত রকম সব্জি ছোট করে কেটে প্রচুর পরিমাণ মাখনে সেটি নেড়েচড়ে, স্বাদমতো নুন, মশলা দিয়ে তা সেদ্ধ করা হয়। সব্জির সঙ্গে মটর, কড়াই বা কাবুলি চানাও যোগ করতে পারেন। দিতে পারেন সেদ্ধ করা রাজমা। প্রত্যেকটি উপাদানেই প্রচুর প্রোটিন থাকে।
আরও পড়ুন:
৪। পাওভাজি নিরামিষই হয়। তবে যদি স্বাদ-স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রাখা হয়, তাতে যে মুরগির মাংসের কিমা যোগ করা যাবে না তা কিন্তু নয়। মুরগির মাংসে প্রচুর পরিমাণ প্রোটিন থাকলেও ফ্যাটের পরিমাণ কম। মাংসের কিমা সেদ্ধ করে সব্জি রান্নার সময় মিশিয়ে দিতে পারেন। উল্লেখ্য, কলকাতার অনেক জয়েন্টেই ইদানীং ‘কিমা পাও’ নামের একটি পদ পাওয়া যায়। বলা যেতে পারে, সেটি পাওভাজির আমিষ সংস্করণ। সেখানে মটন কিমা ব্যবহৃত হয় পাও-এর সঙ্গে। তাতে সব্জির মিশেল থাকে না। স্বাদে এটি আকর্ষণীয় হলেও, একে ‘স্বাস্থ্যকর’ খাবারের পর্যায়ে ফেলা ঠিক হবে না।
৫। স্বাদ, পুষ্টি বৃদ্ধির আরও একটি উপায় হল পাওভাজির সব্জির উপর থেকে সেদ্ধ ডিম গ্রেট করে দেওয়া। এতে প্রোটিন জুড়বে, স্বাদও বাড়বে।
তবে একই সঙ্গে, পাওভাজি স্বাস্থ্যকর করে তুলতে হলে মাখনের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখা প্রয়োজন।