কী ভাবে পরিষ্কার করবে ল্যাপটপ বা কম্পিউটারের কিবোর্ড? ছবি: সংগৃহীত
কয়েক দিন ব্যবহার করতে না করতেই কম্পিউটার বা ল্যাপটপের কিবোর্ডে আর পর্দায় ধুলো পড়ে যায়। সেই ধুলো দেখে অস্বস্তি হলে, আমরা সাফ করে নিই। কিন্তু ধুলো দেখা গেলেও, কিবোর্ডের ফাঁকে বা ল্যাপটপের নানা খাঁজে এমন অনেক বিপজ্জনক জিনিস জমা হয়, যা খালি চোখে দেখা সম্ভব নয়। সেগুলি নিয়মিত পরিষ্কার না করলে বিপদ।
কয়েক বছর আগে ‘ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অব এনভায়রনমেন্টাল রিসার্চ অ্যান্ড পাবলিক হেল্থ’ নামক পত্রিকায় ‘ইউনিভার্সিটি অব ভেটেরিনারি মেডিসিন অ্যান্ড ফার্মেসি এমপ্লয়িজ’-এর একটি গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়। সেখানে গবেষকরা দেখিয়েছেন, যে কোনও কিবোর্ডের ৯৬ শতাংশ অংশই নানা ধরনের ব্যাকটিরিয়ায় ভর্তি হয়ে থাকে। সেগুলি নানা ধরনের সংক্রমণের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। জীবাণুনাশক দিয়ে পরিষ্কার করার পর তার পরিমাণ অনেকটাই কমে যায়।
কিবোর্ড যে নিয়মিত পরিষ্কার করা উচিত, এ কথা অনেকেরই জানা। কিন্তু কী দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে, তা অনেকেই বুঝতে পারেন না। বিজ্ঞানীরা বলছেন, ৭০ শতাংশ আইসোপ্রোপাইল দিয়ে পরিষ্কার করলে কিবোর্ডের ক্ষতি হয় না, আবার জীবাণুও সাফ হয়।
এর পরে দু’টি প্রশ্ন পড়ে থাকে। কী ভাবে পরিষ্কার করবেন, আর কত দিন অন্তর পরিষ্কার করবেন?
অতি পরিচিত কম্পিউটার এবং ল্যাপটপ নির্মাতা সংস্থা বলছে, নরম সুতির কাপড়ে আইসোপ্রোপাইল লাগিয়ে, তা দিয়ে কিবোর্ড পরিষ্কার করা উচিত। পর্দাও একই ভাবে সাফ করা যেতে পারে। সাফাই শুরু করার আগে অবশ্যই যন্ত্রটি বন্ধ করে দিতে হবে এবং সম্ভব হলে ধুলো পরিষ্কার করে নিতে হবে। আর কখনও আইসোপ্রোপাইল কিবোর্ডে স্প্রে করা যাবে না।
কত দিন অন্তর পরিষ্কার করবেন?
‘ইউনিভার্সিটি অব ভেটেরিনারি মেডিসিন অ্যান্ড ফার্মেসি এমপ্লয়িজ’-এর একটি গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, এক বার সাফ করার দু’সপ্তাহ পর থেকে আবার দ্রুত গতিতে জীবাণুর বংশবৃদ্ধি হতে থাকে। তাই দু’সপ্তাহ অন্তর ল্যাপটপ বা কম্পিউটারের কিবোর্ড পরিষ্কার করা উচিত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy