গ্যাস-অম্বলের সমস্যা এড়াতে খালি পেটে নিয়ম করে অ্যান্টাসিড খান অনেকেই। তাতে সারা দিনের জন্য নিশ্চিন্ত। দিনভর তেল-মশলা যা-ই পেটে যাক, গলা, বুক জ্বালার সমস্যা হবে না। কিন্তু এই অভ্যাস অস্বাস্থ্যকর। অ্যান্টাসিড জাতীয় ওষুধ সাময়িক ভাবে আরাম দিতে পারলেও সমস্যার সমাধান করতে পারে না। ফলে অম্বলের সমস্যা ভোগাতেই থাকে। অনেকের আবার অ্যাসিড রিফ্লাক্সের সমস্যা হয়। কিছু খেলেই মনে হয় গলা দিয়ে অম্লরস উঠে আসছে। কী ভাবে অম্বল থেকে রেহাই পাওয়া যাবে, তার উপায় বলে দিয়েছেন চিকিৎসক।
গ্যাস্ট্রোএন্টেরোলজ়িস্ট সৌরভ শেট্টি জানিয়েছেন, তিনি নিয়মিত তিন ধরনের জিনিস তাঁর খাবারে রাখেন। রান্নাতেও তা ব্যবহার করেন। যে কোনও ভারতীয়ের হেঁশেলেই এই তিনটি জিনিস থাকে, যা গ্যাস-অম্বলের সমস্যার সমাধান করতে পারে। নিয়মিত যদি রান্নায় ব্যবহার করা হয়, তা হলে আর ওষুধ খাওয়ার প্রয়োজন হবে না।
কোন তিন জিনিস খেলে অম্বল হবে না?
হলুদ
সকলের হেঁশেলেরই অন্যতম প্রধান উপকরণ হলুদ। এই মশলা রান্নায় যেমন অপরিহার্য, তেমনই এর স্বাস্থ্যগুণও অনেক। হলুদের কারকিউমিন যৌগ অম্বলের সমস্যা কমাতে পারে। এই যৌগটি শরীরের প্রদাহ কমায়, অন্ত্রে ভাল ব্যাক্টেরিয়ার সংখ্যা বাড়ায়। চিকিৎসক জানাচ্ছেন, রোজের রান্নায় হলুদ ব্যবহার করলে অম্বলের ভয় থাকবে না। কাঁচা হলুদ সকালে খালি পেটে খেলেও উপকার হবে। দুধে এক চিমটে হলুদ ফেলে খেলে পেট ভাল থাকবে।
আরও পড়ুন:
সজনে
সজনে পাতা, সজনে ডাঁটা, এমনকি সজনে পাতা বেটে স্মুদি বানিয়ে খেলেও লাভ হবে। সজনের মধ্যে থাকে পলিফেনল নামক অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট, যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় ও প্রদাহ কমায়। পাশাপাশি ফ্ল্যাভনয়েড, আইসোথায়োসায়ানেট অন্ত্রের প্রদাহ প্রতিরোধ করে। ফলে অম্বলের সমস্যা হয় না।
মৌরি
খাওয়ার পরে কেবল মুখশুদ্ধি হিসেবে নয়, মৌরির গুণ অনেক। ভরপুর ভূরিভোজের পরে খানিকটা মৌরি মুখে ফেললেই দেখবেন, গা গোলানো ভাবটা কমে যাবে। মৌরি কিন্তু শরীরের প্রদাহ কমাতে পারে। এতে আছে অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি গুণ। মৌরিতে রয়েছে অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল উপাদান, যা পেটের সমস্যা কমাতে সহায়তা করে। খাওয়াদাওয়ার পরে কাঁচা মৌরি চিবিয়ে খেলে তার রস হজমে সহায়তা করবে। তা ছাড়া এক গ্লাস জলে এক চা-চামচ মৌরি সারা রাত ভিজিয়ে রেখে সকালে তার জল খেলে পেট ভাল থাকবে। এক চামচ মৌরি থেঁতো করে তার রস মধুর সঙ্গে মিশিয়ে খেলে হজম সংক্রান্ত যে কোনও সমস্যা কমবে।