শুধুই স্বাদ নয়, পুষ্টিগুণে ভরপুর ডিম সহজেই উঠে আসে পাতে। ছবি: শাটারস্টক।
বিজ্ঞাপনী জিঙ্গল হোক বা জিভের স্বাদ, রোজ রোজ ডিম খাওয়ার হাতছানি নতুন নয়। সস্তায় পুষ্টিকর ও সহজলভ্য হওয়ায় গৃহস্থ বাড়িতে ডিমের রাজত্বও বেশ জাঁকিয়ে। সকালের পাত থেকে শুরু করে রাতের খাবার— নানা রূপে ডিমের উপস্থিতি সামনে আসে আমাদের। কিন্তু ঠিক ক’টা করে ডিম প্রতি দিন খাওয়া যায়?
পুষ্টিবিদদের মতে, ডিম ভালবাসার নেপথ্যে শুধু স্বাদই নয়, রয়েছে পুষ্টির কারণও। ওজন নিয়ন্ত্রণ থেকে শুরু করে শরীরে দরকারি প্রোটিনের অনেকটা জোগান দেওয়া সবটাই করে থাকে ডিম। শুধু প্রোটিনই নয়, ডিমে রয়েছে ভিটামিন ৬, ভিটামিন ১২, ফলিক অ্যাসিড, পটাশিয়াম-ম্যাগনেশিয়াম-সোডিয়াম, থিয়ামিন, আয়রন, জিঙ্ক, ভিটামিন ডি-সহ নানা প্রয়োজনীয় উপাদান।
ডিমের কুসুমে কোলেস্টেরল আছে— এমন ‘বদনামে’ অনেক সময় ডিম খাওয়ায় নিষেধাজ্ঞা জারি হয়। তবে চিকিৎসকদের মতে, একটি ডিমের কুসুমে মাত্র ১০০-৩০০ মিলিগ্রাম কোলেস্টেরল থাকে। সেটুকু শরীরের ভাল কোলেস্টেরল তৈরিতেও কাজে লাগে। তবে ডিমের সাদা অংশে কোনও কোলেস্টেরল থাকে না।
আরও পড়ুন: ঘন ঘন কটন বাডস দেন কানে? বড় বিপদ ডেকে আনছেন অজান্তেই
যদিও ডায়াবেটিক ও হৃদরোগীদের ডায়েটে অনেক সময় ডিমের উপস্থিতি কাটছাঁট করেন চিকিৎসকেরা। সে ক্ষেত্রে ডিমের ভিতরের স্যাচুরেটেড ফ্যাট অনেকটা দায়ী। এমনিতে সমস্যা না থাকলেও কোলেস্টেরল খুব বেশি থাকলে ডিমের কুসুম বাদ দিয়ে খাওয়াই ভাল বলে মত জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ সুবর্ণ গোস্বামীর।
তাঁর মতে, ‘‘ওজনের সমস্যা থাক বা না থাক, সপ্তাহে তিন-চারটি ডিমের বেশি না খাওয়াই ভাল। কারণ ডিমের ভিতরে থাকা অ্যাভিডিন নামের গ্লাইকোপ্রোটিন আমাদের শরীরের ভিতরে বায়োটিনকে শোষণে বাধা দেয়। বায়োটিন শরীরের খুব প্রয়োজনীয় উপাদান। চুল ভাল রাখতে ও ত্বক-নখের গঠনে সাহায্য করে এটি। বায়োটিনের অভাব খুব বেড়ে গেলে মস্তিষ্কের কাজের উপরেও তা প্রভাব ফেলতে পারে। বায়োটিন জলে দ্রবণীয় ভিটামিন এবং খুব সহজেই শরীর থেকে বার হতে পারে। কিন্তু এই বায়োটিন শোষণে ডিমের সাদা অংশ বাধা দেয় বলে ডিম খাওয়ায় নিয়ন্ত্রণ আনা ভাল।’’
আরও পড়ুন: মেয়েদের বন্ধ্যাত্ব রুখতে পাতে রাখুন এই ডায়েট, সুস্থ থাকবে ভ্রূণও
ঠিক কতগুলো ডিম স্বাস্থ্যের পক্ষে নিরাপদ?
মেডিসিন বিশেষজ্ঞ গৌতম কুমার গুপ্তও সুবর্ণবাবুর সঙ্গে সহমত। তাঁর মতে, সুস্থ মানুষের পক্ষে দিনে একটি ও সপ্তাহে চারটির বেশি ডিম খাওয়া উচিত নয়। প্রোটিন ডায়েটে থাকা মানুষের জন্যও দিনে একটি ও সপ্তাহে চারটির বেশি ডিম পাতে না রাখাই উচিত। সে ক্ষেত্রে প্রোটিনের জোগান বাড়াতে হবে মাছ-মাংস ও উদ্ভিজ্জ প্রোটিন থেকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy