প্রতীকী ছবি।
পুজোর আগে যত যত্ন সহকারে রূপচর্চা এবং চুলের পরিচর্চা করেন সকলে, পুজোর পর সেটা অনেকটাই কমে যায়। অথচ পুজোর পরেই প্রয়োজন হয় বাড়তি যত্নের। অনিয়ম, রাতজাগা, বেহিসেবি খাওয়াদাওয়া ত্বক এবং চুলের উপর যথেষ্ট খারাপ প্রভাব ফেলে। তার উপর পুজোর সময়ে চুলের অযত্ন হয় অনেক বেশি। তাড়াহুড়োয় হয়তো শ্যাম্পু করলেন, কিন্তু কন্ডিশনার লাগানোর সময় পেলেন না। কিংবা ব্যাকব্রাশ করে করে চুল উঠে গেল। বা নানা রকম কায়দায় চুল বাঁধার জন্য প্রচুর পরিমাণে হেয়ার স্প্রে বা হেয়ার জেল লাগিয়েছেন। চুলে যত বেশি প্রসাধনী লাগাবেন, মাথার তালুতে তত বেশি নোংরা জমবে, চুল রুক্ষ হয়ে নির্জীব দেখাবে। তাই পুজোর পরই চুলের যত্নের প্রয়োজন বেশি।
এই সময়ে কী ভাবে যত্ন নেবেন চুলের?
১। কিছু দিন শ্যাম্পু-কন্ডিশনার বদল করুন। হাল্কা কোনও ভেষজ শ্যাম্পু ব্যবহার করতে পারেন। কড়া রাসায়নিক পদার্থ ছাড়া যত হাল্কা শ্যাম্পু-কন্ডিশনার ব্যবহার করতে পারবেন, তত ভাল। যদি পুজোর আগে চুলে রং করিয়ে থাকেন বা মাথার তালুতে কোনও রকম সমস্যা থাকে, তা হলে অবশ্যই সালফেট বা অ্যালকোহল যুক্ত শ্যাম্পু এড়িয়ে চলুন। নারকেল তেল, হায়রোলনিক অ্যাসিড, ভিটামিন থ্রি, ফাইভ বা সিক্স রয়েছে এমন প্রসাধনী ব্যবহার করতে পারলে ভাল।
২। শ্যাম্পু করার সময়ে আগে চুলে নয়, মাথার তালু আগে পরিষ্কার করুন। বাকি চুলে শ্যাম্পু আলাদা করে লাগাবেন না। ফেনা হয়ে এলে সেটাই হাত দিয়ে টেনে নিয়ে চুলে লাগান। কন্ডিশনার কখনও মাথার তালুতে লাগাবেন না। চুলের গোড়া থেকে ইঞ্চি দুয়েক ছেড়ে বাকি চুলে লাগাবেন। ধুয়ে ফেলার আগে ২ থেকে ৩ মিনিট রাখতে হবে।
৩। ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড, প্রোবায়োটিক, ফোলেট, ভিটামিন এ, সি’র মতো পুষ্টিগুণ রোজকার খাবারে রাখার চেষ্টা করুন। চুলের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে শরীরের ভিতর থেকে সঠিক পুষ্টির প্রয়োজন।
৪। কিছু দিন চুলে প্রসাধনী, চুল সোজা করার বা কোঁকড়া করার যন্ত্র একদম বাতিল করুন। চুলে যত বেশি তাপ ব্যবহার করবেন, চুল তত রুক্ষ হয়ে যাবে। রুক্ষতা কমাতে কাঠের বড় মুখের চিরুনি ব্যবহার করুন। রোদে বেরোনোর আগে চেষ্টা করুন একটি সিরাম লাগানোর। যা সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে বাঁচাবে।
৫। বাড়িতেই নারকেল তেল, অলিভ অয়েল, অ্যাভোক্যাডো এবং রোজমেরি দিয়ে একটি মাথার তেল তৈরি করুন। শ্যাম্পু করার আগে এই তেল দিয়ে মাসাজ করুন তালুতে। এতে প্রাকৃতিক ভাবে চুলে আর্দ্রতা বজায় থাকবে। চুলও নরম হবে।
৬। সপ্তাহে দু’দিন কোনও হেয়ার মাস্ক ব্যবহার করতে পারেন। দই-মধু-অ্যালোভেরা এবং কলা দিয়ে বাড়িতেই বানিয়ে ফেলুন হেয়ার মাস্ক। ২০ মিনিট চুলে লাগিয়ে রেখে ধুয়ে ফেলুন জল দিয়ে। তারপর ভেষজ শ্যাম্পু ব্যবহার করুন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy