প্রতীকী ছবি। ছবি: সংগৃহিত
যে কোনও রান্নায় একটু ঘি পড়লেই তার স্বাদ বদলে যায়। গরম ভাতে অল্প একটু ঘি— বাঙালির আর কী চাই! তবে ঘি শুধু হেঁসেলেই নয়, নানা রকম ঘরোয়া টোটকায়ও অত্যন্ত জরুরি উপকরণ। ত্বকের সমস্যা থেকে কাঁটাছেড়া সারানো— ঘিয়ের গুণ অনেক। কোন কোন কাজে ঘি লাগতে পারে, জেনে নিন।
হ়জমশক্তি বাড়ানো
কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ভুগছেন? পাতে এক চামচ ঘি নিয়ে বসুন। যে কোনও খাবারের সঙ্গে খেতে পারেন। বা তেলের বদলে ঘি দিয়েও কোনও পদ রান্না করতে পারেন। তবে খেয়াল রাখবেন ঘিয়ের পরিমাণ যেন মাপা হয়।
বন্ধ নাকের সমাধান
সর্দি লেগে নাক বন্ধ হয়ে আছে? এই অস্বস্তিকর পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পেতে অল্প ঘি সামান্য গরম করে নেবেন। ঈষদুষ্ণ ঘি সকালে ঘুম থেকে উঠেই নাকে ঢেলে দিন। গলা অবধি ঘি গিয়ে সংক্রমণ অনেকটা কমাতে সাহায্য করে। তাই একটু হলেও স্বস্তি পাবেন।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ
রুটির উপর একটু ঘি মাখিয়ে নিলে বা ভাতের সঙ্গে এক চা চামচ ঘি খেলে তা আপনার ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতেও সাহায্য করবে। হোয়াইট রাইস বা আটার রুটি গ্লাইসেমিক্স ইনডেক্সে অনেকটাই উচুর দিকে থাকে। কিন্তু একটু ঘি মাখিয়ে নিলে সেই সংখ্যাটা কমে যায়। ফলে খাবারও অনেক বেশি স্বাস্থ্যকর হয়।
মেদ ঝরানো
ঘিয়ে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা থ্রি এবং ওমেগা সিক্স ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে। যা আপনার শরীরের ফ্যাট গলাতে সাহায্য করে। তাই অনেকে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে প্রথমেই এক চামচ ঘি খেয়ে নেন। এটাকে বলে ‘ফ্যাট ফার্স্ট ডায়েট’। সকালবেলা পেট ভর্তি রাখতে অনেকে ঘি কফিও খেয়ে নেন।
শুকনো ঠোঁট
কিছুতেই ঠোঁট ফাটার সমস্য দূর হচ্ছে না? ঠোঁটের উপর পুরু করে ঘিয়ের স্তর লাগিয়ে রাখুন। দেখবেন ম্যাজিকের মতো কাজ দিচ্ছে।
ত্বকের সমস্যা
যে কোনও ধরনের ত্বকেই ঘি কার্যকরী। বেসন, ঘি, হলুদ আর সামান্য জল মিশিয়ে একটা উপটান বানিয়ে নিন। মুখে ২০ মিনিট লাগিয়ে রেখে জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে দু’বার লাগালে উপকার পাবেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy