এপ্রিলের শেষেই পারদ ক্রমশ ঊর্ধ্বমুখী। বাড়িতে অনেকেই শখে বাগান করেন। গরমকালে বাগান করার ক্ষেত্রে অনেকেই কয়েকটি ভুল করে ফেলেন। অন্যথায় গাছের ক্ষতি হয়। তাই বাড়িতে বাগানের জন্য সহজ কয়েকটি বিষয় খেয়াল রাখলে সুবিধা হয়।
আরও পড়ুন:
১) বাড়ির বাগানে নির্দিষ্ট সময়ান্তরে অনেকেই নতুন গাছ লাগান। তবে কোন মরসুমে কোন গাছ লাগানো উচিত, তা জেনে রাখা ভাল। গরমকালে কোন কোন গাছ সুস্থ থাকে বা কোন কোন গাছ ভাল ফুল ও ফল ধারণ করে, তা জেনে বাগান করলে সমস্যা হবে না।
২) নিয়মিত জল না দিলে গাছ সতেজ থাকে না। তাতে ফুল ও ফলের বৃদ্ধিও ঘটে না। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, গাছে জল দেওয়ারও নির্দিষ্ট সময় রয়েছে। দুপুরে চড়া রোদের মধ্যে গাছে জল দেওয়া উচিত নয়। কারণ তাপমাত্রা যত বেশি হবে, জল তত দ্রুত বাষ্পে পরিণত হবে। ফলে তাতে গাছের উপকারও কমে যাবে। সকালে তাপমাত্রা কম থাকে। তখন গাছে জল দিতে পারলে সবচেয়ে ভাল ফল পাওয়া যায়। তবে জল দিতে হবে ভোর ৫টা থেকে ৯টার মধ্যে।
৩) ভোরে গাছে জল না দিতে পারলে, সে ক্ষেত্রে বিকল্প পথ খোলা রয়েছে। বিশেষজ্ঞদের একাংশের দাবি, ভোরে গাছে জল না দিতে পারলে সন্ধ্যায় জল দেওয়া যেতে পারে। কারণ, সূর্যাস্তের পর তখন ধীরে ধীরে চারপাশের তাপমাত্রা কমতে শুরু করে। কিন্তু বেশি রাতে গাছে জল দেওয়া ঠিক নয়। কারণ, অনেক সময়ই সূর্যালোকের অভাবে শিকড়ে বেশ জল জমা হতে পারে। তা থেকে গাছে ছত্রাক সংক্রমণ হতে পারে বা গাছটির মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।
৪) গরমকালে প্রখর দাবদাহে টবে মাটির আর্দ্রতা বজায় থাকা জরুরি। তার জন্য গাছে জল দেওয়ার পর মাটির উপরে শুকনো পাতা দিয়ে রাখা যায়।

প্রখর গ্রীষ্মে বাড়িতে গাছের পরিচর্যার প্রযোজন। ছবি: সংগৃহীত।
৫) রৌদ্রের তাপ থেকে গাছকে রক্ষা করতে দিনের বেলায় প্রয়োজনে টবগুলির উপরে কোনও ঢাকা (প্লাস্টিক শিট বা খড়ের চালা) দেওয়া যেতে পারে। ফ্ল্যাটের বারান্দায় অনেকে গাছ রাখেন। সেখানে খুব চড়া রোদ থাকলে, দুপুরে কোনও পর্দার আড়াল ব্যবহার করা যেতে পারে।
৬) গরমে গাছে পোকামাকড়ের উপদ্রব বাড়ে। কিন্তু খুব দাবদাহের মধ্যে মাটিতে কীটনাশক ব্যবহার না করাই ভাল। আর কীটনাশক ব্যহার করলেও তা যেন ভেষজ পদ্ধতিতে তৈরি হয়, সে দিকেও খেয়াল রাখা উচিত।
৭) গরমে তাপমাত্রার কারণেই গাছ বেশি জল শোষণ করে। তাই অনেকেই গাছে একটু বেশি জল দিয়ে থাকেন। সে ক্ষেত্রে টবের নীচে যেন অতিরিক্ত জল বেরিয়ে যাওয়ার জন্য ফুটো থাকে, তা দেখে নিয়ে নতুন গাছ পোঁতা উচিত।