আলপনায় থাকুক রঙের ছোঁয়া! ছবি: সংগৃহীত
বাড়িতে লক্ষ্মীপুজো মানেই সকাল থেকে আলপনা দেওয়ার ধুম। লাল মেঝেতে খড়িমাটি বা চালের গুঁড়োর শ্বেতশুভ্র আলপনার চল সেই প্রাচীনকাল থেকে। লক্ষ্মীঠাকুরের আরাধনায় জাঁকজমক থাকে না, থাকে ঘরোয়া আয়োজন। শাঁখ-উলুধ্বনিতে গৃহকর্ত্রীর হাতেই পূজিত হন ধনদেবী। ধূপ-ধুনো-প্রদীপ জ্বেলে অত্যন্ত ঘরোয়া উপায়ে ছিমছাম পুজো সারা হয়।
সদর দরজা থেকে একেবারে সিংহাসন পর্যন্ত আঁকা হয় আলপনা। কোজাগরী পূর্ণিমার রাতে চলে পুজোর আয়োজন। কথিত আছে, পূর্ণিমা রাতের আলো-আঁধারিতে এই আলপনা দেখেই দেবী লক্ষ্মী বুঝতে পারেন কোন বাড়িতে তাঁর আরাধনা হচ্ছে। সেই বাড়িতেই অধিষ্ঠান হয় তাঁর। নিয়ম করে পুজো করলে তাই আলপনা না দিলেই নয়। তবে কেবল চালের গুঁড়ো বা খড়িমাটি দিয়েই নয়, আরও নানা কায়দায় আলপনা দিয়ে পুজোর দিনে ঘরটা সাজিয়ে তুলতে পারেন। ভাবছেন কী ভাবে?
ফুলের সাজে: বাজার থেকে পুজোর ফুল কেনার সময় একটু বেশি করে হলুদ ও কমলা গাঁদা ফুল কিনে আনুন। আর কয়েকটি গোলাপও নিতে ভুলবেন না যেন। চক দিয়ে নকশা কেটে ফুলের রঙে রাঙিয়ে তুলুন আলপনাটি।
ফেব্রিক রঙে: ঘরে না হলেও দুয়ারে নানা রঙের ফেব্রিক রং দিয়ে আলপনা দিতেই পারেন। সাদা আর লাল রং দিয়ে আলপনা করলেও মন্দ লাগবে না। অনেক পরিশ্রম করে আলপনা করা হয়, অথচ চালের গুঁড়ো দিয়ে করলে দিন দুয়েকেই নষ্ট হয়ে যায়। মাস খানেক আলপনা টিকিয়ে রাখতে চাইলে ফেব্রিক রং ব্যবহার করুন।
স্টিকার: খুব বেশি পরিশ্রম করতে না চাইলে বাজার থেকে স্টিকার আলপনা কিনেও ব্যবহার করতে পারেন। তবে বাড়ির ভিতরে স্টিকার ব্যবহার না করাই ভাল। স্টিকারের দাগ উঠতে চায় না। বাড়ির দুয়ারে ব্যবহার করাই শ্রেয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy