বাথরুমে ছত্রাক দেখা দিলে ব্লিচিং পাউডার ব্যবহার করতে পারেন। ছবি: সংগৃহীত
নিজের বাড়িকে একটু সাজিয়ে-গুছিয়ে না রাখলে অতিথিদের সামনে মান যেতে পারে। কিন্তু ঘরদোর যতই সুন্দর করে সাজানো-গোছানো থাকুক না কেন, দেওয়ালে যদি কালচে ছোপ পড়ে থাকে হবে গোটা ঘরের সৌন্দর্যই নষ্ট হয়ে যায়। চলতি কথায় একে ছাতা বলে। পুরনো বাড়িতে এই সমস্যা তো হয়ই, তবে ঠিক মতো যত্ন না নিলে ফ্ল্যাট একটু পুরনো হলেই এই সমস্যা দেখা দিতে পারে। মূলত ছত্রাক থেকেই এই সমস্যা তৈরি হয়। তবে শুধু দেওয়ালই নয়, আসবাব কিংবা দীর্ঘ দিন ফেলে রাখা জামাকাপড়েও ফাঙ্গাস ধরে যেতে পারে। ছত্রাক থেকে শ্বাসকষ্ট কিংবা অ্যালার্জির সমস্যাও দেখা দিতে পারে। তাই এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে মাথায় রাখতে হবে কয়েকটি বিষয়।
১. বেসিন বা বাথরুমের নিকাশিতে কোনও সমস্যা থাকলে এর পার্শ্ববর্তী দেওয়ালে ড্যাম্প হতে পারে। এই ধরনের সমস্যা থাকলে পাইপ সারাই করান। যেখানে ড্যাম্প ধরেছে, সেখানে ‘মোল্ড রেজিস্ট কালার’ বা জিপসাম প্লাস্টার ব্যবহার করতে পারেন। তা হলে দেওয়ালটি অনেক দিন ভাল থাকবে।
২. বাথরুমে ছত্রাক দেখা দিলে ব্লিচিং পাউডার ব্যবহার করতে পারেন। এ ছাড়া, ব্যবহার করতে পারেন বোরাক্স ও ভিনিগারের মিশ্রণও। দেওয়ালে মিশ্রণ ছড়িয়ে ভাল করে জায়গাটি ঘষতে হবে। বাথরুমে ‘এগজস্ট ফ্যান’ লাগান, যাতে ঠিকমতো বায়ু চলাচল করতে পারে।
৩. কাঠের আসবাব থাকলে, সেখানেও বাসা বাঁধতে পারে ছত্রাক। পুরোনো কাঠের দরজা থাকলে, অনেক সময় ছত্রাকের আক্রমণে সেই দরজা ফুলে ওঠার আশঙ্কা থাকে। এই ধরনের দরজা বদলে ফেলুন। কাঠের আসবাবে ছত্রাকের আক্রমণ আটকাতে আর এক বার বার্নিশ করে নিতে পারেন। বাড়িতে কাঠের মেঝে থাকলে তা সব সময়ে শুকনো রাখতে হবে।
৪. মেঝের কোণে অনেক সময়ে ফাঙ্গাস বাসা বাঁধে। বিশেষ করে মেঝেতে কার্পেট থাকলে, এই সমস্যা বেশি হয়। এখন অনেকেই ঘরে গাছ রাখেন। কিছু গাছ অতিরিক্ত আর্দ্রতা বাড়ায়। যাতে ফাঙ্গাস দেখা দিতে পারে।
৫. রান্নাঘরে ছত্রাক ছড়িয়ে পড়লে খাবারে বিষক্রিয়া দেখা দিতে পারে। সব্জির খোসার উপর বহু ক্ষেত্রেই ফাঙ্গাস ধরে যায়। যা অন্যত্রও ছড়িয়ে পড়তে পারে। কাজেই আবর্জনার পাত্রটি নিয়ম করে পরিষ্কার করা দরকার। সাদা ছত্রাকের উপর নিয়মিত ভিনিগার স্প্রে করুন আর শুকনো কাপড় দিয়ে মুছে নিন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy