অন্দরসজ্জাই বাড়িতে বসবাস করা মানুষগুলির রুচির পরিচায়ক হয়ে দাঁড়ায়। ছবি: সংগৃহীত
নিজের বাড়ি মানেই স্বপ্নের আস্তানা। নিশ্চিন্ত ও নিরাপদ আশ্রয়। সকলকে নিয়ে এক ছাদের নীচে থাকার মনের আরাম।
শুধু বাড়ি তৈরি করলেই কাজ শেষ হয়ে যায় না। আসল কাজ শুরু হয় বাড়ি তৈরি হয়ে যাওয়ার পর। অন্দরসজ্জাই বাড়িতে বসবাস করা মানুষগুলির রুচির পরিচায়ক হয়ে দাঁড়ায়। ইদানীং অনেকেই নিজেদের নতুন বাড়ি বা ফ্ল্যাট সাজানোর দায়িত্ব দেন পেশাদার অন্দরসজ্জা শিল্পীদের হাতে। শিল্পীদের নিপুণ ও দক্ষ হাতে এবং ভাবনায় সেজে ওঠে বাড়ি।
কিন্তু কেমন হয় যদি নিজের বাড়ি নিজেদের হাতেই সেজে ওঠে? ভয় পাচ্ছেন? ভাবছেন তো পারবেন কি না? ঠিক পারবেন। রইল পরামর্শ।
১) মেঝের জন্য সঠিক পাথর চেনা বেশ কঠিন। পাথরের ভেনস মিলিয়ে কিনতে হয়। ঘরের মাপ নিয়ে সে অনুযায়ী দোকানথেকে সঠিক মাপের পাথর কিনে আনতে হবে।
২) পুরোনা আসবাবের মায়া কাটাতে না পেরে অনেকেই নতুন আস্তানায় সেগুলি সঙ্গে নিয়ে আসেন। এই আসা যাওয়ার মাঝে অনেক জিনিস ভেঙেচুরেও যায়। এতে খরচ এবং ঝামেলা দু’টিই বাড়তে থাকে। তার চেয়ে নতুন বাড়িতে নতুন আসবাব রাখুন। তা ছাড়াও পুরনো ওই আসবাবগুলিকে ভেঙে নতুন আসবাবও বানিয়ে নিতে পারেন।
৩) ঘরের পর্দা, কুশন, বালিশ সব কিছুর মধ্যেই রং এবং নকশায় খানিকটা সাদৃশ্য থাকা ভাল। দেওয়ালে পছন্দের ‘ওয়াল পেপার’লাগাতে পারেন।
৪) ক্যাকটাস, মানি প্ল্যান্টের মতো কিছু গাছ বারান্দায় ফেলে না রেখে ঘরের একটি নির্দিষ্ট কোণায় সযত্নে সাজিয়ে রাখুন।
৫) বসার ঘরে যদি সোফা থাকে, সেক্ষেত্রে একটি ছোট টেবিলও থাকা উচিত। তাহলে একটি রঙিন গালিচাও পেতে রাখতে পারেন বসার ঘরে।
৬) নতুন বাড়িতে আলো ঝলমলে পরিবেশ বজায় রাখা প্রয়োজন। তাই বাড়ির সব ঘরেই বিভিন্ন ধরনের রঙিন ও সাদা আলো লাগান। বসার ঘরে সম্ভব হলে এক ছোট দেখে একটা ঝাড়বাতিও টাঙাতে পারেন।
৭) বইপত্র এদিক-ওদিক যাতে ছড়িয়ে না পড়ে, তার জন্য বইয়ের একটি আলাদা তাক বা কাচের পাল্লা দেওয়া আলমারি তৈরি করে সেখানে বইগুলি সমান করে গুছিয়ে রাখুন। ঘরের সৌন্দর্য আরও খোলতাই হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy