হাতে সময় কম, ঠাকুরঘরকে সাজিয়ে তুলতে নজর দিন ৫ দিকে। ছবি: সংগৃহীত।
পুজোয় কেবল নিজেই সাজলে হল না, ঘরকেও সাজাতেও হবে বইকি। অনেকেই পুজোর ভিড়ে বাইরে বাইরে বেরোতে চান না। সে ক্ষেত্রে বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে বাড়িতেই বসে আড্ডা। অন্দরসজ্জায় একটু বদল আানলেও মনমেজাজও ভাল হয়ে যায়। পুজোর আগে তাই কেউ হয়তো নতুন রং করেন দেওয়ালে, কেউ নতুন আসবাব কেনেন। অনেকে আবার পুরোনো আসবাবেরই স্থান পরিবর্তন করে ভোল বদলে ফেলেন ঘরের। বসার ঘর, শোয়ার ঘরের পাশাপাশি ঠাকুরঘরও একটু নতুন ভাবে সাজিয়ে নেওয়া যায় এই সময়ে। পুজো উপলক্ষে বেশ কিছু রীতিনীতি, আচার পালন করা হয় বাড়িতে। তাই অনেকেই চান, নতুন ভাবে ঠাকুরঘর সাজাতে। দেখে নিন, কোন কোন উপায়ে ঠাকুরঘরে আনতে পারবেন নতুনত্বের ছোঁয়া।
১) ঠাকুরঘর সাধারণত ছোট হয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে ঠাকুরঘর রং করার দিকে বিশেষ নজর দেওয়াও হয়ে ওঠে না। কিন্তু মাঝেমধ্যে রং করলে মন্দ কী? ঠাকুরঘর রং করলে খেয়াল রাখবেন, ছোট জায়গায় গা়ঢ় রং ভাল লাগে না। বদ্ধ লাগে। তাই হালকা রং ব্যবহার করে দেখতে পারেন, ছোট ঠাকুরঘরও বড় দেখাবে।
২) দেওয়ালে রং করা তো হল, তবে ঘরে ঠিকমতো আলো বা রোশনাই না হলে কিন্তু দেখতে মোটেও ভাল লাগে না। ঠাকুরের সিংহাসন সাজাতে ছোট টুনি বাল্ব ব্যবহার করতে পারেন। এ ছাড়াও দেওয়ালে লাগাতেও পারেন এই আলো। একরঙের আলো ব্যবহার করতে চাইলে হলুদ আলো এ ক্ষেত্রে মানানসই। বাজারে এখন ইলেক্ট্রিক প্রদীপ পাওয়া যায়, ঠাকুরঘর সাজাতে সেগুলিও ব্যবহার করতে পারেন।
৩) ঠাকুরঘরে ঢোকার দরজাও সাজাতে পারেন নতুন করে। পুজোর চার দিন রোজ ঝোলাতে পারেন ফুলের মালা। সিংহাসনেও নানা রঙের মালার ব্যবহার করতে পারেন। দরজায় ঢোকার মুখে নিজের হাতে আলপনা দিলে বেশ দেখাবে। না হলেও লাগাতে পারেন বাজার থেকে কেনা আলপনার স্টিকার।
৪) ঠাকুরের সিংহাসনের পাশে রাখুন ফুলদানি। আর ফুলদানিতে থাকুক তাজা ফুল। এ পুজোর ঘর সুবাস ভরে যাবে, যদি ব্যবহার করা হয় সুগন্ধি ধূপ।
৫) সিংহাসনের পিছনের দেওয়ালটি সাজাতে দেওয়ালের রঙের সঙ্গে মানানসই ওয়ালপেপারও ব্যবহার করতে পারেন। অল্প খরচেই ঠাকুরঘরের ভোল একেবারে বদলে যাবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy