শোয়ার ঘর সাজাবেন কী ভাবে,রইল টিপ্স। ছবি: ফ্রিপিক।
দিনভর কাজের শেষে বাড়ি ফিরে শোয়ার ঘরের বিছানায় গা এলিয়ে দিয়েই আরাম পান, তাই তো! তাহলে শোয়ার ঘরটি পরিপাটি করে রাখতেই হবে। সুন্দর করে গোছানো ঘর দেখলেই সারাদিনের ক্লান্তি কেটে যাবে। মন ভাল হয়ে যাবে। ছোট হোক বা বড়, শয়ন কক্ষ বড় আপন, বড় আদরের। তাই শোয়ার ঘরের সাজসজ্জা রুচিসম্মত হওয়াই প্রয়োজন। আর যাঁরা নতুন সংসার পাতছেন, তাঁরা নিশ্চয়ই এই নিয়ে ভাবনাচিন্তাও করছেন। কেমন হবে দেওয়ালের রং, বিছানাটা ঠিক কোথায় পাতবেন, বিছানার চাদর কেমন হবে, ঘরের দেওয়াল কী ভাবে সাজাবেন, তার খুঁটিনাটি জেনে নিলে অনেক সুবিধা হবে। শোয়ার ঘর যত সুন্দর হবে, ততই তার প্রভাব পড়বে মনে ও মেজাজে।
অন্দরসাজ মানেই যে কেবল নিজের রুচি ও সৃজনশীলতার পরিচয় দেওয়া, তা নয়, বরং নিজেকে ভাল রাখাটাও জরুরি। এখনকার ব্যস্ত সময়ে মানসিক চাপ, উদ্বেগ, দুশ্চিন্তা খাঁড়া ঝুলিয়েই রেখেছে। নিত্যদিনের উৎকণ্ঠা থেকে সাময়িক আরাম আমরা সকলেই চাই। সেই আরাম দিতে পারে আমাদের শোয়ার ঘর। তাই অন্যের ভাবনায় নয়, বরং নিজের মনের মতো করেই সাজান নিজের শয়ন কক্ষ।
দেওয়ালের রং ও কারুকাজ
সবচেয়ে আগে নজর দিন দেওয়ালের রঙে। এমন রং বাছতে হবে, যাতে ঘরে আলো ঝলমল করে। তাই দেওয়ালের রং হালকা হওয়াই বাঞ্ছনীয়। খাট যেখানে পাতবেন সে দিকের দেওয়ালের রং একটু গাঢ় করতে পারেন। অথবা সেদিকের দেওয়ালে কারুকাজ করাতেও পারেন। এখন তো বিভিন্ন রকম ‘ওয়াল ডেকরেশন’ বেরিয়ে গিয়েছে। নতুন রকম ‘ওয়াল পেপার’ দিয়েও সাজাতে পারেন। তাতে ঘরের সাজটাই বদলে যাবে। তা ছাড়া সাজানোর আরও উপায় আছে। খাটের পিছনের দিকের দেওয়ালে কাচের বা কাঠের তাক করিয়ে নিতে পারেন। তাতে রাখুন সুন্দর শো-পিস। দেখতে খুবই ভাল লাগবে। হাল্কা রঙের দেওয়ালে ঝুলিয়ে নেওয়া যায় পছন্দের কিছু ছবি। নিজেদের ছবিও কোলাজ করে দেওয়ালে ঝোলাতে পারেন।
শোয়ার ঘরের মেঝে
এখন আর আগেকার দিনের মতো শুধু মোজ়াইক,মার্বেল বা লাল সিমেন্টের মেঝে হয় না। কাঠের মেঝে বা ‘ল্যামিনেটেড ফ্লোরিং’ করান অনেকে। তবে নতুন করে মেঝে করানোর পরিকল্পনা না থাকলে, মেঝেতে শৌখিন কার্পেট পাততে পারেন। তাতেও ঘর দেখতে সুন্দর লাগবে।
শৌখিন আলো পরিবেশই বদলে দেবে
টিউব লাইটের পাশাপাশি ডিম লাইট লাগাতে পারেন। বিছানার পাশে ছোট টেবিল রেখে, তার উপরে রাখুন ল্যাম্পশেড। এখন বিভিন্ন রকম আকার ও ডিজাইনের ল্যাম্পশেড পাওয়া যায়। তা ছাড়া ঘরে ‘পিন লাইট’ লাগালেও ভাল লাগবে। সেখানে একই রঙের আলো না লাগিয়ে দেওয়ালের রঙের সঙ্গে মিলিয়ে বিভিন্ন রকম আলো লাগাতে পারেন।
খাট কোথায় পাতবেন ঠিক করেছেন?
শোয়ার ঘরের মূল আকর্ষণই হল বিছানা। কেনার সময় শোয়ার ঘরের আকারের কথা অবশ্যই মাথায় রাখুন। খাট একদিকের দেওয়াল চেপে রাখলেই ভাল। যদি শোয়ার ঘরের লাগোয়া বাথরুম হয়, তাহলে খাট থেকে নেমে বাথরুমের যাওয়ার পথটা ফাঁকাই রাখুন। এতে চলাফেরার জন্য কিছুটা জায়গা থাকবে। ঘর বড়ও দেখাবে। খাট অবশ্যই যেন বক্স বা ড্রয়ারযুক্ত হয়। তাতে অনেকটা জায়গা বাঁচবে। যদি দেওয়ালে আলমারির জায়গা থাকে, তাহলে খুব ভাল। না হলে চেষ্টা করুন দেওয়ালেই ওয়াড্রোব তৈরি করার। শোয়ার ঘরে আসবাব কম থাকলেই ভাল। যদি জায়গা বেশি থাকে, তাহলে বসার ছোটখাটো জায়গা করতে পারেন। সে ক্ষেত্রে ঘরের এক কোণে ছোট টেবিলের সঙ্গে একটা আরামকেদারাই যথেষ্ট।
পর্দা, কুশনেও যেন থাকে রুচির ছাপ
বিছানার চাদর, বেডকভার খুব জমকালো হলে দেখতে ভাল লাগে না। হালকা রঙের সুতির বিছানার চাদর দেখতেও ভাল লাগে, আরামদায়কও হয়। শোয়ার ঘরের জানলার মাপে নেটের পর্দা ঝুলিয়ে দিন। তার উপরেই লম্বা ঝুলের পর্দা ঝোলান। লম্বা পর্দা সরিয়ে রাখলেও নেটের পর্দা ঘরকে আড়াল রাখবে। ঘুম থেকে উঠে বালিশ, গায়ে দেওয়ার চাদর বক্সে ঢুকিয়ে দিন। সুন্দর বেডকভার পেতে কয়েকটা কুশন রেখে দিন বিছানার উপরে। দেখতে খুবই ভাল লাগবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy