বহু বাড়িতেই বৈঠকখানা, খাবার জায়গা বা শোয়ার ঘর নিয়ে যতটা ভাবনা থাকে তার বিন্দুমাত্র থাকে না স্নানঘর নিয়ে। এ জন্য স্বল্প স্থানই বরাদ্দ হয় বেশিরভাগ বাড়িতে। সেই জায়গার অন্দরসজ্জা নিয়ে ভাবনা চিন্তা দূরের কথা বরং যে কোনও জিনিস যে কোনও জায়গায় রেখে দেওয়ার ফলেই সমস্যা আরও বাড়ে। বেশ কয়েকটি সাধারণ ভুল করে ফেলেন অনেকেই। ফলে, স্নানঘর দেখায় আরও ছোট। কোন ভুলগুলি এড়িয়ে চলবেন?
১. ছোট্ট জানলা, গাঢ় রঙের টাইল্স, স্নানঘরের প্রয়োজনীয় জিনিস যেখানে সেখানে ডাঁই করে রাখার ফলে ছোট্ট ঘরটি আরও হতশ্রী দেখায়। স্নানঘরে যত আলোর অভাব হবে, ততই সেটি ছোট দেখাবে।
আরও পড়ুন:
২. অ্যানি স্লোয়ান নামে এক অন্দরসজ্জা শিল্পী বলছেন, অনেকেই স্নানঘর সুন্দর দেখাতে একাধিক রঙের ব্যবহার করেন। ভুল করে বসেন রং বাছাইয়ে। সঠিক রং নির্বাচন না করলে ঘরটি আরও ছোট দেখাতে পারে। ভাল হয় যদি নিউট্রাল রং বেছে নেওয়া যায়।
৩. অনেকেই স্নানঘরে বাথটাব রাখেন। কিন্তু কোথায়, কী ভাবে রাখা হচ্ছে সেটি গুরুত্বপূর্ণ। কিছু বাথটাব আছে যেগুলো শুধুমাত্র বাথরুমের মেঝের উপরেই রেখে দেওয়া যেতে পারে। বেশ কিছুটা উঁচু হয় এই বাথটাবগুলো। তবে এই ধরনের বাথটাব ছোট স্নানঘরের জন্য সুবিধাজনক নয়। বদলে দেওয়াল ঘেঁষে আয়তাকার বা কর্নার টাব রাখলে স্নানঘর তুলনামূলক বড় দেখাবে।
৪. স্নানঘরে বেসিনের উপরে, এখানে-ওখানে ছড়িয়ে রাখা জিনিসপত্র শুধু সৌন্দর্য নষ্ট করে না, ঘরটি দেখায়ও ছোট। অথচ দেওয়ালে সুন্দর ভাবে সৌখিন আলমারি বানিয়ে নিলে, বা বেসিনের নীচে আলাদা ভাবে জিনিসপত্র রাখার ব্যবস্থা করলে স্নানঘর অনেক বেশি গোছানো এবং আকর্ষণীয় হয়ে উঠতে পারে।
৫. ছোট ছোট টাইল্সের ব্যবহার, বেশি জবরজং নকশাও স্নানঘর ছোট দেখানোর কারণ হতে পারে। টাইল্সের গাঢ় রংও এ ক্ষেত্রে সমস্যা তৈরি করে। বদলে বড় টাইল্স এবং হালকা রঙের ব্যবহারে স্নানঘর শুধু উজ্জ্বল নয় বড়ও দেখাতে সাহায্য করবে।