নতুন ফ্ল্যাট মনের মতো করে সাজাবেন। সেখানে সুন্দর একটি অ্যাকোয়ারিয়াম রাখবেন ভেবেছেন। তবে শুধু জিনিসটি কিনলেই হল না, আনুষঙ্গিক বিষয়গুলি নিয়ে পরিকল্পনাও জরুরি।
১. টেবিলের উপরেও অ্যাকোরিয়াম সাজানো যায়, আবার দেওয়াল জুড়েও সেটি রাখা যায়। অন্দরসজ্জার অঙ্গ হিসাবে অ্যাকোরিয়াম কিনলে, প্রথমেই স্থান নির্বাচন জরুরি। বসার ঘরে, না কি খাওয়ার জায়গায়, ঠিক কোনখানে তা রাখলে সকলের নজর পড়বে, সেটি ভেবে নিন। বিভিন্ন আকার, আয়তনের অ্যাকোয়ারিয়াম যেমন পাওয়া যায়, তেমনই চাইলে দেওয়াল জুড়েও তা তৈরি করা যায়। প্রয়োজন, শখ বুঝে অ্যাকোয়ারিয়াম কিনুন।
২. অ্যাকোয়ারিয়াম শুধু রাখলেই হবে না, নিয়ম করে সেটি পরিষ্কার করতে হবে। ফলে সহজে পরিষ্কার করা যায়, এমন কোথাও সেটি রাখুন। তবে জানলার সামনে বা বারান্দার খোলা জায়গায় অ্যাকোয়ারিয়াম রাখলে রোদের তাপে এবং শীতের দিনে জলের তাপমাত্রার হেরফের হতে পারে। সেই সব মাথায় রেখে স্থান নির্বাচন জরুরি।
আরও পড়ুন:
৩. রকমারি মাছ যদি রাখতে চান, তা হলে কী কী রাখবেন স্থির করে তার পর উপযোগী অ্যাকোরিয়াম কেনা দরকার। অন্য দিকে, অ্যাকোরিয়ামের আকার, সৌন্দর্য প্রাধান্য পেলে, সেই মতো মাছ বাছাই জরুরি। মিষ্টি জলের ও ক্রান্তীয় অঞ্চলের মাছ রাখতে গেলে সাধারণত খরচ বেশি হয় না, মাঝারি মাপের অ্যাকোয়ারিয়ামেই তা রাখা যায়। তবে সামুদ্রিক মাছ রাখতে গেলে খরচ বেশি, এবং তার উপযুক্ত আকারের অ্যাকোয়ারিয়াম প্রয়োজন।
৪. অ্যাকোরিয়ামের জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণ কেনাও জরুরি। জলের সঠিক তাপমাত্রা বোঝার জন্য অ্যাকোরিয়ামের জল গরম রাখার যন্ত্র, থার্মোমিটার রাখা দরকার। অনেক মাছই তাপমাত্রার হেরফেরে অসুস্থ হয়ে পড়তে পারে বা মারাও যেতে পারে। এ ক্ষেত্রে জলের তাপমাত্রা ঠিক রাখা জরুরি। গরমের দিনে বরফ জল বা শীতাতপ নিয়ন্ত্রণের দরকার পড়তে পারে। খুব ঠান্ডার জায়গায় থাকলে দরকার হবে হিটার। পাশাপাশি, বাড়িতে সব সময় মাছ দেখাশোনার বা খেতে দেওয়ার কেউ না থাকলে তাদের খাবার দেওয়ার জন্য স্বয়ংক্রিয় যন্ত্র লাগাতে হবে।
৫. অ্যাকোয়ারিয়ামের অন্দরসজ্জাও কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। সুন্দর মাছের পাশাপাশি কী ভাবে তা সাজানো হচ্ছে, তার উপর নির্ভর করে, তা কতটা আকর্ষক হবে। অ্যাকোরিয়ামের মেঝেতে প্রথমেই রকমারি নুড়ি বিছিয়ে দিন। তার পর ব্যবহার করতে পারেন জলজ উদ্ভিদ। জাভা ফার্ন, অ্যামাজ়ন সোর্ড, ওয়াটার উইসটেরিয়া শুধু সৌন্দর্য বাড়ায় না, জলের পরিবেশ, অক্সিজেন, কার্বন ডাই অক্সাইডের মাত্রার ভারসাম্য বজায় রেখে জলের অ্যাকোয়ারিয়ামের ভিতরের বাস্তুতন্ত্র ঠিক রাখতে সাহায্য করে।