অমিতের বহুদিনের স্বপ্ন ছিল একটা রেস্তরাঁ খোলার। গিরিশ পার্কের ১০ বাই দশ ফুটের ঘরে বসেই চাইনিজ রেস্তরাঁর স্বপ্ন দেখেছিল সে। আর সেই কারণেই দিন-রাত এক করে পয়সা জমাচ্ছিল অমিত। সকালে সেলসম্যানের কাজ, রাতে একটা ফুড ডেলিভারি কোম্পানি — এভাবেই দিন কাটছিল অমিতের। অমিত জানত তার এই স্বপ্নপূরণের পথে অনেক বাধা আসবে। কিন্তু সে কখনই ভাবেনি সেই বাধা লকডাউন হয়ে থাবা বসাবে তার স্বপ্নের ইমারতে।
সময় পেরিয়ে যায়। এক দিন লকডাউনের সমস্ত নিয়ম শিথিলও হল। কিন্তু করোনার সময়ে মানুষ রেস্তরাঁতে আসতে ভয় পাচ্ছিল। অমিতের মাথায় হঠাৎ একটা আইডিয়া এল — "এই সময়ে যদি রেস্তরাঁকে নিয়েই মানুষের কাছে পৌঁছে যাওয়া যায়!" রান্না-বান্না বেশ ভালই জানত অমিত। কিন্তু তার প্রয়োজন ছিল একটা সুপারফাস্ট এবং শক্তিশালী নেটওয়ার্কের। আর অমিতের সেই স্বপ্নপূরণের রাস্তাকে আরও সহজ করে তুলেছিল ভারতের দ্রুততম 4G নেটওয়ার্ক Vi। সোশ্যাল মিডিয়া থেকে অনলাইন প্রোমোশন, ফেসবুক লাইভ সবেতেই অমিতকে সাহায্য করেছিল Vi।
শুধু তাই নয়, এর পরে ইউটিউবেও একটা চ্যানেল খুলে নেয় অমিত। আর সময় পেলেই নতুন নতুন রেসিপি বানানো শিখে, সেগুলিকে লাইভ দর্শকদের কাছে নিয়ে আসতে শুরু করে। অল্প কয়েকদিনের মধ্যেই বেশ জনপ্রিয় হয়ে তার শুরু করা ক্লাউড কিচেন।
প্রাথমিকভাবে ক্লাউড কিচেন একাই সামলাতো অমিত। এখন ৯ জন কাজ করে তার সঙ্গে। ৩ জন শেফ এবং ৫ জন ডেলিভারি বয়। আর ৯ নম্বর জন কে জানেন? প্রথম দিন থেকেই তাদের সবথেকে ভরসাযোগ্য পার্টনার Vi।
Ookla-র মতে কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ সহ গোটা ভারতে Vi দ্রুততম নেটওয়ার্ক। ভারতের যে কোনও জায়গায়, যে কোনও সময়ে Vi নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে ব্যবহারকারীরা সবথেকে দ্রুত ডাউনলোড ও আপলোড করতে পারেন। যে কারণে এই প্রতিকুল সময়েও লক্ষ লক্ষ মানুষ Vi-এর উপরেই ভরসা রেখেছেন।
আবার ধরুন রিজুর কথা। বাড়িতে বসেই Vi নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে সে অনলাইনে একের পর এক ইন্টারভিউ দিয়েছে। অনলাইনে ভিডিয়ো কলের অর্থই কতটা সুন্দরভাবে, এবং মসৃণভাবে কোনও ব্যক্তি অপর প্রান্তের ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছেন। Vi-এর নেটওয়ার্ক এতটাই শক্তিশালী যে রিজুকে কোনওরকম সমস্যার মুখে পড়তে হয়নি। শুধু রিজুই নয়, প্যান্ডেমিকের সময়ে Vi-এর লেটেস্ট টেকনোলজির মাধ্যমে কয়েক লক্ষ মানুষ সুন্দরভাবে ইন্টারভিউ দিতে পেরেছে।
আপনিই বলুন না, একজন মিউজিশিয়ানের কাছে দর্শকের হাততালি, বাহবার থেকে কীই বা গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে? কিন্তু প্যান্ডেমিকের সময়ে দর্শকদের কাছে পৌঁছানো অত্যন্ত মুশকিল ছিল। অবশ্য এই চ্যালেঞ্জটা নিতে রাজি ছিল বিবেক, রোহন আর শ্রুতি। Vi-এর নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে সোশ্যাল মিডিয়ায় একের পর এক লাইভ পারফর্ম করেছিল তারা। এবং মাত্র কয়েকদিনের মধ্যেই তাদের ফ্যান ফলোয়ার্স লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে শুরু করে দিয়েছিল। তাদের কাছে সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল নেটওয়ার্ক। কারণ অনলাইন লাইভ সেশনে আপলোড - ডাউনলোড স্পিড খারাপ হলে স্ট্রিমিং আটকে যাবে। আর Vi খুব সুন্দরভাবে তাদের এই সমস্যার সমাধান করে দিয়েছিল।
আমরা প্রত্যেকেই জানি, বাঙালির সবথেকে বড় উৎসব দুর্গাপুজো। আর দুর্ভাগ্যজনকভাবে, গত বছর প্যান্ডেমিকের কারণে মন্ডপ পরিদর্শন বন্ধ ছিল। রাস্তায় ভিড়ও ছিল কম। এই পরিস্থিতিতে Vi নেটওয়ার্ক ও তাদের প্রযুক্তির কারণেই বাঙালি দু্র্গাপুজো মিস করেনি। কারণ Vi নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে অনলাইনেই হয়েছিল মন্ডপ পরিদর্শন।
গত এক বছরে গোটা বিশ্ব বদলে গিয়েছে। বলা বাহুল্য প্রতি মুহূর্তে বদলে যাচ্ছে সব কিছু। মানুষ ঘরবন্দি হয়ে পড়ছে। জীবনের এই রোজনামচায় আমাদের প্রয়োজন একটি শক্তিশালী ও ভাল নেটওয়ার্কের। আর Vi তাদের শক্তিশালী নেটওয়ার্কের মাধ্যমে সেই চাহিদা পূরণ করে চলেছে আর সাক্ষী থাকছে একের পর এক সাফল্যের কাহিনীর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy