উৎসবের দিনগুলিতে সুস্থ থাকতে খাবার খেতে হবে পরিমিত পরিমাণে। ছবি: সংগৃহীত।
উৎসব মানেই অনিয়ম। রাতজাগা, বাইরে খাওয়াদাওয়া, সঙ্গে অফুরন্ত কড়া পানীয়। গোটা শীতকাল জুড়েই উৎসবের মেলা। বড়দিন থেকে যে উৎসব শুরু হয়েছে, তার জের চলবে পৌষ পার্বণ পর্যন্ত। সকলের পেট কি এত অত্যাচার সহ্য করতে পারবে? তা ছাড়া ওজন বেড়ে যাওয়ার সমস্যা তো রয়েছেই। ডায়াবিটিস রোগীদেরও সমস্যা কম নয়! কী খাবেন, আর কী খাবেন না, তা ভাবতে গিয়ে অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়েন অনেকে। তবে উৎসবের দিনগুলিতে সুস্থ থাকতে কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখার পরামর্শ দিলেন, বাইপাসের ধারে এক বেসরকারি হাসপাতালের শল্যচিকিৎসক উদ্দীপ্ত রায়। তাঁর কথায়, পেটের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পর্যাপ্ত পরিমাণে জল খেতে হবে। শরীরের উপর যত অত্যাচারই করুন না কেন, জল খেতে ভুলবেন না। শরীরের আর্দ্রতা বজায় রাখলে পেটের অনেক সমস্যাই এড়িয়ে চলা যায়। বড়দিন, বর্ষবরণের উৎসবে অ্যালকোহল পান তো হয়েই যায়। বেশি পরিমাণে মদ খেলে শরীর ডিহাইড্রেটেড হয়ে যেতে পারে। সেই ভয় থাকবে না জল খেলে। উল্টে শরীরে জমা টক্সিনও দূর হবে।
খাবারের প্রসঙ্গ উঠতেই চিকিৎসক জানালেন, “সমস্ত খাবারে ভারসাম্য রাখা ভীষণ জরুরি। সব্জি, মাছ, মাংস, ডিম— সব কিছু এক সঙ্গে না খেয়ে, নিজের অবস্থা বুঝে খান।” যে সব খাবারের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম, সেগুলি খাওয়ার পরিমাণ বাড়িয়ে দিন। তবে, অনেক ক্ষণ আগে কেটে রাখা, কাঁচা সব্জির স্যালাড খাওয়ার বিষয়ে সতর্ক করেছেন চিকিৎসক।
ডায়াবিটিস রোগীদের এই সময়ে বড় সমস্যা। ইচ্ছে করলেও এক টুকরোর বেশি কেক খেতে পারেন না। শুকনো ফল, বাদাম, মাখনে ভরপুর কেক বেশি খেলে রক্তে শর্করা বেড়ে যেতে পারে। তবে শীতে সুস্থ থাকতে চিকিৎসকের নিদান হল, নিয়মিত ঘি খাওয়া। মরসুমি ফল, সব্জি, বাদাম, বীজের পুষ্টিগুণে শুধু ডায়াবিটিস নয়, সামগ্রিক ভাবেই শরীর ভাল থাকবে। এ ছাড়া সুস্থ থাকতে ভাল করে চিবিয়ে, পরিমিত খাবার খাওয়া, পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখাও যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy